১৫১৩ সাল।
২৯
পঞ্চম পরিচ্ছেদ।
বাটী আসার অর্দ্ধঘন্টার মধ্যেই বন্ধুর নিকট এই বার্ত্তা আসিল:—“এখনই আসিবে। আর এক বিপদ উপস্থিত।”
তৎক্ষণাৎ ছুটিয়া গেলাম এবং অতি ব্যস্তভাবে তাঁহাকে জিজ্ঞাসা করিলাম, “ব্যাপার কি?”
তিনি বলিলেন:—
“বাটী আসিয়া দেখি পক্ষীকাগারে যে মার্ব্বেল নির্ম্মিত চৌবাচ্চায় সমুদ্র জল থাকে তাহা কেহ ভাঙ্গিয়া ফেলিয়াছে। যে সেফে আমাদের নক্সা ও সুবর্ণ প্রস্তুত করিবার উপায়ের বিবরণী থাকিত তাহার চাবীও কে ভাঙ্গিয়া ফেলিয়াছে। কিন্তু ঐ দুইটী জিনিষ চুরি করিতে পারে নাই। বোধ হয় সেই সময় কেহ ঘরে প্রবেশ করিয়াছিল।”
“তাহা হইলে তুমি কার্য্যস্থলে যাইবার পর এই ঘটনা ঘটিয়াছে?”
“নিশ্চয়ই”।
“তুমি বাটী হইতে যাওয়ার সময় এখানে কে কে ছিল জান?”
“শুনিলাম দুইজন ঝি ব্যতীত আর কেহ ছিল না।”
“হরিশ কোথায়?”
“সেও এক কথা। কাল প্রাতে আহারাদির পর সে চলিয়া যায়। এখনও পর্য্যন্ত আসে নাই—”।
“এই যে, আপনার দাস উপস্থিত। প্রণাম।” এই কথা আমাদের পশ্চাতে কে বলিয়া উঠিল।
চাহিয়া দেখি, হরিশ। তার মুখে কেমন একটা হাস্যের তরঙ্গ প্রবাহিত হইতেছে।
বন্ধুবর বিরক্তভাবে প্রশ্ন করিলেন:—
“তুই না বলেকয়ে কোথায় গিয়েছিলি?”
সে সহাস্যে বলিল:—“প্রণাম। আমার বক্সিস্।”