পাতা:১৫১৩ সাল.pdf/৪৬

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
১৫১৩ সাল।
৩৫

উৎসুক আমি। শুনিতে পাই, হাসানজী কোম্পানী কি গোলযোগ উপস্থিত করিয়াছে। কাজেই, আমরা একটা হিসাব নিকাশ লইতে বাধ্য হইতেছি। ডাইরেক্টার মহাশয়েরা নিশ্চয়ই তাঁহাদের হিসাব up-to-date রাখিয়াছেন। তাঁহারা তাহাই উপস্থিত করুন।”

 আমি বলিলাম:—

 “এ কিরূপ কথা? আপনারা আমাদের উপর বিশ্বাসস্থাপন করিয়া সকল বিষয়ের ভারার্পণ করিয়াছেন। আমরা যথাসাধ্য সকল কার্য্য করিতেছি। আমরা হিসাব দেখাইতে বা এতদিন কি করিয়াছি, তাহার বিবরণ উপস্থিত করিতে সর্ব্বদাই প্রস্তুত। কিন্তু বেয়াইনী ভাবে কিছুই দিব না। রীতিমত নোটিস্ দিয়া সভা আহ্ববান করুন। আমরা আহ্লাদে সকল কথা জানাইব।”

 সেই অংশীদার মহাশয় বলিলেন:—

 “এই সভা যথানিয়মে আহুত হইয়াছে। এ বিষয়ে বোধহয় দুইজন ব্যতীত আর কাহারও অন্যমত নাই। আমি প্রস্তাব করি যে আমাদের একজন মাননীয় অংশীদার “প্রভাতী” সম্পাদক শ্রীযুক্ত রামদাস ঘোষ মহাশয় অদ্যকার সভার সভাপতি হউন।”

 এই প্রস্তাব শুনিয়া অনেকে পরস্পরের মুখাবলোকন করিতে লাগিলেন। শীঘ্রই একজন অংশীদার, শ্রীপ্রিয়নাথ রায়, বলিয়া উঠিলেন:—

 “প্রভাতী”—সম্পাদক আমাদের অংশীদার নহেন। তিনি কিরূপে সভাপতি হইতে পারেন?”

 আমি থাকিতে পারিলাম না, বলিলাম:—

 “বাস্তবিকই তিনি এখন একজন অংশীদার। বলমহাশয় সকল কথা জানেন। তাঁহাকে জিজ্ঞাসা করুন।”

 বলমহাশয় বিস্মিতভাবে বলিলেন:—

 “কই, কবে তিনি অংশীদার হইলেন? আমিত কিছুই জানি না?”