পাতা:১৫১৩ সাল.pdf/৪৯

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
৩৮
১৫১৩ সাল।

 “খেলিলেন খেলা ভাল। সম্পাদককে তো জুয়াচোর প্রভৃতি মধুর বাক্যে আপ্যায়িত করিলেন। এখন জুয়াচোর কে ধর্ম্মতঃ বলুন ত?”

 “কি বলেন? আমি জুয়াচোর?”

 “হাঁ। আপনি বিষম জুয়াচোর, দাগা বাজ, প্রবঞ্চক, দস্যু—”

 “মুখ সামলাইয়া কথা কহিবেন। না হইলে বিশেষ অনিষ্ট ঘটিতে পারে।”

 আস্তিন্ গুটাইয়া হাত দেখাইয়া আমি বলিলাম:—

 “শরীরের উপর নহে। এই দেখুন বহরটা।”

 “আপনার নামে নালিশ করিয়া কিছুদিন শ্রীঘর দর্শন করাইব।”

 “আমায় যাইতে হইবে না। সম্পাদক আপনার সেখানে বাসের আয়োজন করিবেন।”

 “আপনি ভাল চাহেন তবে ক্ষমা প্রার্থন করুন।”

 “কখনই না।”

 বন্ধুবর এতক্ষণ চুপ করিয়া সকল কথা শুনিতেছিলেন। তিনি এখন বাধা দিয়া বলিলেন:—

 “রজনী বাড়াবাড়ি করিও না। থাম।”

 “লোকটার প্রবঞ্চনার প্রমাণ এক্ষণেই দিতেছি।” এই বলিয়া আমি এক ভৃত্যকে একটা spirit lamp আনিতে বলিলাম। তাহার উপর সম্পাদকের তথা-কথিত কোবালার একপৃষ্ঠা দুইচারি মিনিট ধরিবার পর ইংরাজী ভাষায় লিখিত অনেকগুলি অক্ষর বাহির হইয়া পড়িল।

 আমি পড়িতে উদ্যত হইলে, বল বাধা দিতে চেষ্টা করিল। কিন্তু আমি চিৎকার করিয়া কিছু কিছু পাঠ করিলাম।

 বন্ধুবর বলিলেন:—

 “এ ত’ আমরা যে কোবালা পূর্ব্বে দেখিয়াছি তাহারই অনুলিপি। অক্ষরগুলি লোপ পাইয়াছিল কি করিয়া?”