পাতা:১৫১৩ সাল.pdf/৭৯

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
৬৬
১৫১৩ সাল।

অপেক্ষা করিতে ইচ্ছা করেন না। তাঁহারা কালবিলম্ব না করিয়া আপনারাই এক জাহাজ ভাড়া করিয়া উপস্থিত হইলেন। তাঁহাদিগের সহিত কয়েকজন অংশীদার ও আসিলেন। তাঁহারা আমাদিগের কার্য্যপ্রণালী ও ফল দেখিয়া বড়ই তুষ্ট হইয়া বন্ধুবরকে শত শত ধন্যবাদ দিলেন। পরে একদিন প্রাপ্ত সুবর্ণ লইয়া কলিকাতাভিমুখে যাত্রা করিলেন। আমরাও অনেকটা নিশ্চিন্ত হইলাম।


চতুর্দ্দশ পরিচ্ছেদ।

 বন্ধুবরকে প্রত্যহ সুবর্ণ প্রস্তুত করিতে দেখি। যে যে যন্ত্রের সাহায্যে উহা উৎপন্ন হয় তাহাও দেখি; কিন্তু শেষে কি এক দ্রব্যের সাহায্যে তিনি উহা প্রস্তুত করেন তাহা বুঝিতে অনেক চেষ্টা করিয়াও পারি না। কয়েকবার তাঁহাকে প্রশ্নও করিয়াছিলাম; কিন্তু তিনি ‘হতগজ’ ভাবে উত্তর দিয়াছিলেন। একদিন বিশেষ করিয়া চাপিয়া ধরিলাম। তখন তিনি বলিলেন:—

 “তুমি প্রায়ই আমাকে এই প্রশ্ন করিয়া থাক। তুমি শিক্ষিত লোক। এ কথা তুমি বুঝ, যদি কেহ কোন কথা প্রকাশ করিতে ইচ্ছা না করে, তাহাকে তজ্জন্য পীড়াপীড়ি করা উচিত নয়। তুমি মনে করিও না আমি বিরক্ত হইয়া এ কথা বলিতেছি। তুমি মনে করিতে পার যে, যে দ্রব্যটীর সাহায্যে সুবর্ণ উৎপাদন হয়, তাহা রাসায়নিক বিশ্লেষণ দ্বারা বাহির করিতে পারিবে। নাম করিয়া বলিব না, কেহ কেহ তাহার চেষ্টাও করিয়াছিল। কিন্তু কেহই কৃতকার্য্য হয় নাই, হইবেও না। তুমি জান আমার আবিষ্কার দীর্ঘ গবেষণার ফল। ইহাই অত্যন্ত আধুনিক সুবর্ণ উৎপাদনের উপায়। একটু বদলাইয়া লইয়া উহার দ্বারা তুমি অনায়াসেই স্বল্প