পাতা:১৫১৩ সাল.pdf/৮০

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
১৫১৩ সাল।
৬৭

ব্যয়ে ভূমি হইতে সুবর্ণ উত্তোলন করিতে পরিবে। বহুপূর্ব্বে যখন রীতিমত ভাবে সুবর্ণ উত্তোলন কার্য্য আরম্ভ হয় নাই, তখন কি করিয়া উহা সংগ্রহ করা হুইত জান?”

 “না।”

 “তখন লোকে ore চূর্ণ করিত। পরে তাহার উপর পারা ঢালিয়া দিত। ঐ পারা সুবর্ণের সহিত এক্‌সা হইয়া যাইত, baser metals পড়িয়া থাকিত। ফলে তখন এ কার্য্য কঠিন ছিল না, খরচও কম পড়িত। কিন্তু ক্রমে ক্রমে উপরিস্থ স্তর শেষ হইয়া গেলে, নীচে কার্য্য করিতে মূল্যবান্ যন্ত্রাদির প্রয়োজন হইতে লাগিল। সেখানে সুবর্ণ refractory অবস্থায় থাকায় উহা পৃথক্ করা সহজ ছিল না। তখন stamping ও grinding যন্ত্রাদির প্রয়োজন হইল। ক্রমে দেখা গোল যে, মিশ্রণ-প্রণালীর দ্বারা খানিকটা সুবর্ণ পাওয়া যাইতে লাগিল, অবশিষ্ট নিকটস্থ নদীগর্ভে বা গুহায় চলিয়া যাইতে লাগিল। তখন এই ক্ষতি দূর করিবার জন্য নানা জটিল উপায় অবলম্বন করা হইল; কিন্তু ক্ষতি বন্ধ হইল না। ১৮৮৯ খ্রীষ্টাব্দে dilute cyanide of potassium এর ব্যবহার প্রস্তাবিত হয়। ইহাতে ঘোরতর আপত্তি হয়, কেন না এই দ্রব্যটী এক দিকে যেমন মূল্যবান্, তেমনি বিষাক্ত। কিন্তু এই দ্রব্যের ব্যবহায় ক্রমে পৃথিবীর সর্ব্বত্র চলিত হইয়া গেল। তাহার প্রমাণ দেই। ১৮৯০ খৃষ্টাব্দে পৃথিবীতে যত সুবর্ণ খনি ছিল, তাহাতে ৫০ টন্ এর অধিক cyanide of potassium ব্যবহৃত হয় নাই; কিন্তু ১৯০৬ খৃষ্টাব্দে ২০০০০ টনের অধিক ব্যবহার হইয়াছিল। ঐ দ্রব্যের অর্দ্ধ সেরের মূল্য প্রথম প্রথম ১॥৹ টাকা ছিল, কিন্তু পরে॥৹ আনা পর্যন্ত নামিয়াছিল। এই cyanide process দ্বারা এখনও সুবর্ণ উৎপাদন হয়। অবশ্য এখন ইহার অনেক উন্নতি হইয়াছে স্বীকার করি। এখন তুমি সহজেই অনুমান করিতে পরিবে যে, এই