১৫১৩ সাল।
৭১
“শুনিলে ত? আমার কথা উড়াইয়া দিতে চাহিয়াছিলে না?”
“এখত করিবে কি? যাহাকে সন্দেহ কর, গ্রেপ্তার করিলে হয় না?”
“চেষ্টা করিয়া দেখিতে পার,” এই কথা কে আমাদের পশ্চাতে বলিয়া উঠিল। ফিরিয়া দেখি সুন্দরলাল দণ্ডায়মান!
আমি বিরক্ত হইয়া জিজ্ঞাসা করিলাম:—
“তুই এখানে কেন?”
“তোমাদিগকে মারিয়া ফেলিতে আসিয়াছি!”
বন্ধুবর শ্লেষ করিয়া বলিলেন:—
“তুই যে আমাদের শত্রুর চর তাহা অনেক দিন হইতে জানি। তোকে আমি কখনই সঙ্গে লইতোম না; কিন্তু আমার এই বন্ধুর জেদে তোকে লইয়াছিলাম। আমি তোকে প্রথম দিনেই চিনিতে পারি। তবে তুই যেরূপ ভাবে কার্য্য করিতেছিলি, তাহাতে আমি একটু ভ্রমে পড়িয়াছিলাম। তুই আমাদের তারহীন বার্ত্তা প্রেরণ করিবার যন্ত্রটা খারাপ করিয়া দিয়াছিলি, নহে কি?”
“হাঁ। কি করিবে কর না। তোমাদের ত আর ঘরে ফিরিয়া যাইতে হইবে না, এখানেই চিতায় শয়ন করাইব। অমাদিগের ভয় কি?”
“‘দিগের’ কারা রে?”
“দেখিবে? দেখ।” এই বলিয়া সে একটি শিষ্ দিল।
দেখিতে দেখিতে পাঁচ ছয় জন লস্কর্ ছটিয়া আসিল। তাহাদের প্রত্যেকের হস্তে এক এক লাঠি।
তাহাদিগকে দেখিয়া বন্ধুবর সুন্দরলালকে জিজ্ঞাসা করিলেন:—
“তুই কি চাস্?”
সে বলিল:—
“তোমরা প্রাণে বাঁচিতে চাও কিনা বল। যদি চাও, তবে এক