পাতা:১৫১৩ সাল.pdf/৮৬

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
১৫১৩ সাল।
৭৩

হইবে। আমার আবার ভয় কি? তোমরা যদি না থাক, তবে আমাদের বিপদে ফেলিবে কে?”

 “তোর মাথার ঠিক নাই দেখিতেছি। একটু ঠাণ্ডা হ’। ব্যাপারটা বুঝাইয়া বল।”

 “মাথা ঠিকই আছে। ব্যাপারটা শুনিতে চাহিতেছ? এখন বলিতে আর আপত্তি কিছুই নাই। কেন না, তোমাদের শেষ সময় উপস্থিত। সকল কথা শুনিয়া একটু আশ্বস্ত হইয়া মরিতে পরিবে। তুমি জান, তুমি “প্রভাতী” সম্পাদকের কতই না অনিষ্ট করিয়াছ। তিনি যাহা চেষ্টা করিয়াছেন, তাহাতে একটা না একটা বখেড়া দিয়াছ। মানুষের শরীর কতদিন আর সহ্য করিতে পারে। কাজেই তিনি তোমায় রীতিমত শিক্ষা দিতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হইয়াছেন। আমায় তুমি উঁহার ছাপাখানায় কাজ করিতে দেখিয়াছিলে, তাহা ঠিক। আমি কিন্তু মনে করি নাই তুমি আমাকে চিনিতে পারিবে। যাহা হউক, আমি কোন রকমে তাঁহার মতলব জানিতে পারিয়া তাঁহার মনোবাঞ্ছা পূর্ণ করিতে প্রস্তুত—একথা তাঁহাকে জানাই। তিনি আমায় নানা প্রকারে পরীক্ষা করিয়া আমার প্রতিজ্ঞার দৃঢ়তা দেখিয়া একদিন বলিলেন যে, যদি আমি তোমাদের জাহাজ ডুবাইয়া দিতে ও তোমাদিগের প্রাণনাশ করিতে পারি, তিনি আমায় পঞ্চাশ হাজার টাকা পুরস্কার দিবেন। আমার বিশ্বাসের জন্য তিনি দশ হাজার টাকা অগ্রিম দিয়াছেন। আমি কোন রকমে তোমার বন্ধুর অধীনে এক চাকুরী জোগাড় করিয়া তাঁহাকে অনেক খোসামোদ করিয়া “সোনার ভারতে” একটি কর্ম্ম যোগাড় করি। উহাতে আমার মনোবাঞ্ছা পূর্ণ করিবার বড়ই সুবিধা হইল। তুমি জান, তোমার তারহীন বার্ত্তা প্রেরণ করিবার যন্ত্র আমিই প্রথমে নষ্ট করিয়া দেই। তখন জানিতাম না যে, উহার duplicate অংশ ছিল। যাহা হউক, তাহার পর আরও কয়েকবার তোমার অনিষ্টের চেষ্টা করিয়াছি; কিন্তু