পাতা:১৯০৫ সালে বাংলা.pdf/১২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

[ ১০৯ ]

 ক্রমে সভাগৃহ জন-শূন্য হইল। উৎসবান্তে নাট্যমঞ্চ যেমন বিষাদ-মণ্ডিত হয়, এখানেও সেইরূপ বা ততোধিক বিষাদের কালিমা দৃষ্ট হইল। ইংরাজ রাজ্যে নবশাসন-প্রণালীর সুস্পষ্ট প্রতিকৃতি সর্ব্বজন সমক্ষে প্রকটিত হইল!

পরামর্শ সভার বাদানুবাদ।

 প্রাদেশিক সমিতি ভঙ্গ হইবার পরেই স্থানীয় মিউনিসিপালিটির চেয়ারম্যান বাবু রজনীকান্ত দাস মহাশয়ের বাটীতে একটি পরামর্শ সভার অধিবেশন হয়। পরামর্শকালে কথা-প্রসঙ্গে কাব্যবিশারদ মহাশয়ের সহিত বাবু বিপিনচন্দ্র পালের কিঞ্চিৎ বাগ্বিতণ্ডা হয়। পুলিশের ভয়ে সমিতির মণ্ডপ পরিত্যাগ উপলক্ষে মতভেদই এই বিষয়ের সূত্রপাত হয়। কাব্যবিশারদ মহাশয় পুলিশের ভয়ে সভা ভাঙ্গিয়া সরিয়া যাইবার পক্ষপাতী ছিলেন না। বাবু বিপিনচন্দ্র পাল কাব্যবিশারদ মহাশয়ের অনুযোগের উত্তরে বলেন, আমি লাঠি মানি, গবর্ণমেণ্ট মানি না। তাই লাঠি দেখিয়াই সরিয়া গিয়াছিলাম। কাব্যবিশারদ বলিলেন, আমি গবর্ণমেণ্ট মানি, লাঠি মানি না। এই কথা সভাপতি মিঃ রসুল, শ্রীযুক্ত হালিম গজনবি, মাননীয় ভূপেন্দ্রনাথ বসু, যোগেশচন্দ্র চৌধুরী, শ্রীযুক্ত সুরেন্দ্রনাথ, শ্রীযুক্ত গীষ্পতি রায় চৌধুরী, মৌলবী আবুল হোসেন, বাবু মতিলাল ঘোষ এবং ময়মনসিংহ, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও বরিশাল প্রভৃতি স্থানের বহু প্রধান ব্যক্তির সমক্ষে হইয়াছিল।