পাতা:১৯০৫ সালে বাংলা.pdf/৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
[২৫]

নিদারুণ জন নিগ্রহকেই সর্ব্বশ্রেষ্ঠ শাসননীতি রূপে গ্রহণ করিয়াছেন, ইহা অতীব দুঃখের বিষয়। কিন্তু কেবল নির্য্যাতন যে কোন জাতির উন্নতির স্রোত প্রতিরুদ্ধ হয় না, জাতীয় সাধু অনুষ্ঠান বিঘ্নবিহত হয় না, ইতিহাসই তাহার সাক্ষ্য প্রদান করিতেছে। রাজপুরুষের প্রজাবৃন্দের উন্নতিস্রোতে বাধা দিবার জন্য চেষ্টা করিলেই এক একজন স্বদেশেভক্ত লোক স্বদেশের মঙ্গলের জন্য নিজ ইচ্ছায় রাজার হস্তে নির্য্যাতন সহ্য করেন―ফলে স্বদেশের হিতকর অনুষ্ঠানাদি আরও বদ্ধমূল হইয়া উঠে। রাজার উৎপীড়ন ও অত্যাচার সত্ত্বেও আজি দেশের প্রত্যেক নগর ও পল্লীতে স্বদেশী পণ্যের প্রচলনকল্পে লোকের উৎসাহবহ্নি উজ্জল আলোক বিকীর্ণ করিতেছে। এক আধ জন নহে―শত শত ব্যক্তি স্বদেশের মঙ্গলসাধনের জন্য অম্নলাবদনে নিগ্রহভোগ করিতেছেন। স্বদেশভক্তের আত্মত্যাগ স্বদেশব্রতকে পুণ্যময় এবং গৌরবে উদ্ভাসিত করিয়াছে। আমি মুক্তকণ্ঠে বলিতেছি, রাজপুষেরা স্বদেশী আন্দোলনের দমনকল্পে জননিগ্রহে যতই আগ্রহ প্রকাশ করুন না―এ আন্দোলনের স্রোত কিছুই হ্রাস পাইবে না, বরং উত্তরোত্তর ইহার শক্তি ও প্রসার বর্ধিত হইবে।

 অতঃপর বক্তা স্বদেশী আন্দোলনের উদ্দেশ্য ও গবর্ণমেণ্টের স্বদেশী আন্দোলন দমনমূলক নিন্দনীয় নীতি সম্বন্ধে আলোচনা করিয়া স্বদেশভক্তদিগকে ধৈর্য্যশালী হইতে উপদেশ প্রদান করেন। তিনি বলেন, আত্মোৎসর্গই স্বদেশ ভক্তির প্রকৃত