২৭
রবীন্দ্র নাথের পত্র।
বাংলা দেশের বর্ত্তমান স্বদেশী আন্দোলনে কুপিত রাজদণ্ড যাঁহাদিগকে পীড়িত করিয়াছে তাহাদের প্রতি আমার নিবেদন এই যে, তাহাদের বেদন যখন আজ সমস্ত বাংলা দেশ হৃদয়ের মধ্যে বহন করিয়া লইয়াছেন, তখন এই বেদন অমৃতে পরিণত হইয়া তাঁহাদিগকে অমর করিয়া তুলিয়াছে; রাজচক্রের ষে অপমান তাঁহাদের অভিমুখে নিক্ষিপ্ত হইয়াছিল মাতৃভূমির করুণ করম্পর্শে তাহা বরমাল্য রূপ ধারণ করিয়া তাঁহাদের ললাটকে আজ ভূষিত করিয়াছে। যাহারা মহাব্রত গ্রহণ করিয়া থাকেন বিধাতা জগৎসমক্ষে তাহদের অগ্নি-পরীক্ষা করাইয়া সেই ব্রতের মহত্বকে উজ্জল করিয়া প্রকাশ করেন—অন্য কঠিন ব্রতনিষ্ঠ বঙ্গভূমির প্রতিনিধি স্বরূপ যে কয়জন এই দুঃসহ অগ্নিপরীক্ষার জন্য বিধাতা কর্তৃক বিশেষ রূপে নির্ব্বাচিত হইয়াছেন তাঁহারা ধন্য, তাঁহাদের জীবন সার্থক। রাজরোষরক্ত-অগ্নিশিখা তাঁহাদের জীবনের ইতিহাসে লেশমাত্র কালিমার সঞ্চার না করিয়া বার বার সুবর্ণ অক্ষরে লিখিয়া দিয়াছে।
২রা ফাল্গুন | } |
শ্রীরবীন্দ্র নাথ ঠাকুর। | |
১৩১২। |
অনন্তর বাবু সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয় তাহার স্বভাবসিদ্ধ ওজস্বিনী ভাষায় বক্তৃতা করেন। সুরেন্দ্রবাবুর মূল বক্তৃতা এই স্থলে উদ্ধৃত হইল:—