পাতা:১৯০৫ সালে বাংলা.pdf/৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

[ ৪৮ ]

বিচার করেন, সেই সর্বনিয়ন্তা ভগবান্ এই সকল মহাত্মাদিগকে দেশের মুখ উজ্জল করিবার জন্য—চিরদুঃখিনী বঙ্গভূমির দুঃখ মোচন করিবার জন্য, সুদীর্ঘ আয়ুঃ প্রদান করুন, ইহাই আমার প্রার্থনা।

  নিবেদক শ্রীভূপেন্দ্র নাথ বসু।

 অনন্তর “দণ্ড দিকে চণ্ডমুণ্ডে এস চণ্ডি যুগান্তরে, পাষণ্ড প্রচণ্ড বলে অঙ্গ খণ্ড খণ্ড করে,” এই আগমনী সঙ্গীত গীত হইল। তৎপরে বানারীপড়ার (বরিশাল) শ্রীযুক্ত প্যারীমোহন গুহ ঠাকুরত। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করিয়া একটী অনতিদীর্ঘ বক্তৃতা করেন। এই অশীতপর বৃদ্ধের প্রত্যেক কথায় লোকের হৃদয় বিচলিত হইয়াছিল। কলিকাতার প্রধান প্রেসিডেন্সি ম্যাজিষ্ট্রেট, জানকীনাথ দত্ত নামক যে বালকটিকে বেত্রদণ্ডে দণ্ডিত করিয়াছিলেন, সেই বালকের পিতা বাবু বসন্তকুমার দত্ত, পুত্রের মুখপাত্র স্বরূপ সভার অনুষ্ঠাতৃবর্গের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

 অনন্তর হবিবপুরের লাঞ্ছিত ব্যক্তিদিগের অন্যতম বাবু বিপিনচন্দ্র গুহ সভার কর্ত্তৃপক্ষের ধন্যবাদ করিয়া সভাপতির হস্তে নয় আনা পয়সা দিয়া বলিলেন যে, তিনি এবং তাঁহার সহযোগীরা যখন কারামুক্ত হয়েন, তখন কারাধ্যক্ষ তাহাদের পাথেয় স্বরূপ এই নয় আনা পয়সা প্রদান করিয়াছিলেন। এই পয়সা ন্যাশন্যাল ডিফেন্সফাণ্ডে প্রেরণ করিবার জন্য বিপিন বাবু সভাপতিকে অনুরোধ করিলেন।