পাতা:১৯০৫ সালে বাংলা.pdf/৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
[ ৫৩ ]

বিশেষ আগ্রহ প্রকাশ করিতেছেন। মুসলমানেরা যে কর্তৃপক্ষের হস্তে অধিক পরিমাণে নিগৃহীত হন নাই, তাহার কারণ মুসলমানদিগের স্বদেশ-সেবার অভাব নহে। কর্তৃপক্ষের অবলম্বিত কূটনীতির ফলেই এইরূপ ঘটিয়াছে। হিন্দু-মুসলমানের মধ্যে বিরোধ উপস্থিত করিবার জন্য তাঁহারা ঐরূপ ভেদনীতির অনুসরণ করিতেছেন। হিন্দু-মুসলমানে চিরদিনই সম্ভাব আছে, মুসলমান সম্রাটদিগের শাসনকালে হিন্দু মুসলমান স্থখস্বাচ্ছন্দ্যে এবং সুহৃদ্যভাবে কালযাপন করিয়াছেন। কিন্তু মুসলমানের সহিত হিন্দুর মিলন ও সম্প্রীতি কর্তৃপক্ষের শাসননীতির প্রতিকুল। এইজন্য তাঁহারা উভয় জাতির মধ্যে বিবাদ ঘটাইবার চেষ্টা করিতেছেন। তবে গবর্ণমেণ্ট এ বিষয়ে যতই চেষ্টা করুন না কেন, পরিণামে তাঁহাদিগের উদ্দেশ্য সম্পূর্ণ বিফল হইবে। যে সকল নাম সভামধ্যে সে দিন প্রকাশিত হয় নাই, তন্মধ্যে যে একজনও নিগৃহীত মুসলমান ছিলেন না, একথা কে বলিতে পারে? নানা কারণে এ অবস্থায় সকলের নাম প্রকাশিত হয় নাই। যাহা হউক, এ স্থলে সে বিষয়ে অধিক আন্দোলন করা অনাবশ্যক।

 অতঃপর বাবু লালবিহারী সাহা খৃষ্টান সমাজের পক্ষ হইতে সভার কার্য্যে সম্পূর্ণ সহানুভূতি প্রকাশ করেন। ইহার পর বাবু কৃষ্ণকুমার মিত্র ও সভাপতি মহোদয় প্রভৃতি বক্তৃতা করিলে শ্রীযুক্ত গীষ্পতি রায়-চৌধুরী কাব্যতীর্থ সভার উদ্দেশ্যও কার্য্যের আলোচনা পূর্ব্বক সভাপতি মহোদয়ের ধন্যবাদ করিলে শ্রীযুক্ত গীষ্পতি রায়-চৌধুরী কাব্যতীর্থ সভার উদ্দেশ্যও কার্য্যের আলোচনা পূর্ব্বক সভাপতি মহোদয়ের ধন্যবাদ করিলে সভাভঙ্গ হয়।