পাতা:১৯০৫ সালে বাংলা.pdf/৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

[ ৬০ ]

দেওয়া অপরাধে ভাস সাহেবের বিচারে এক মাসকাল কঠোর পরিশ্রম সহ কারাবাস করিবার জন্য আদিষ্ট হন। ইঁহাদিগের দুইজনেরই নিমিত্ত অনুরাগনিদর্শন রজত পদক প্রেরিত হইয়াছে।

 এতদ্ভিন্ন শ্রীযুক্ত সাধু ও শ্রীযুক্ত সিধু এই লবণের মামলায় আসামী হন। বিচারে ইঁহাদিগের প্রত্যেকের পঞ্চাশ টাকা করিয়া অর্থদণ্ড হয়। জরিমানার টাকা দিতে না পারিলে উভয়ের চতুর্দশ দিবসের কঠোর শ্রীঘরবাস নিৰ্দ্ধারিত ছিল। উভয়েই এই অর্থদণ্ড প্রদানে অসমর্থ হওয়ায় কারাগৃহে অবরুদ্ধ হইয়াছিলেন। পরে স্থানীয় হিন্দু ভদ্রলোকেরা এ ব্যাপার অবগত হইয়া জরিমানার টাকা তুলিয়া দেন, তখন এই দুইজনের মুক্তি লাভ ঘটে। এই দুইজনকে “বন্দেমাতরম্" অঙ্কিত রজত দোলক বা লকেট অনুরাগ নিদর্শন স্বরূপ প্রদান করা হইল।

 বরিশাল আমাদিগের আন্দোলনে তীর্থক্ষেত্র স্বরূপ ও সর্ব্বাগ্রগণ্য হইয়াছে। সুতরাং আমরা বরিশালের লাঞ্ছিত স্বদেশানুরাগীদিগের নাম করিয়া শেষ করিতে পারি না। যে কয়েকজন মহাপুরুষ কার্য্যক্ষেত্রে আমাদিগের স্মৃতিগোচর হইয়াছিলেন তাঁহাদিগেরই নাম উল্লিখিত হইল।

ঢাকা।

 ঢাকা, নরসিংদি গ্রামে, দেশহিতৈষী মহাত্মা ললিত বাবুর হাটে দুইজন মুসলমান গত ৮ই ডিসেম্বর বিলাতী লবণ বিক্রয়