পাতা:১৯০৫ সালে বাংলা.pdf/৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

[ ৭৪ ]

 ময়মনসিংহের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত যদি বঙ্গের অন্যান্য স্থানে অনুকৃত হয় তাহা হইলে ইহাদিগের লাঞ্ছনাভোগ সার্থক হইয়াছে একথা সকলেই বুঝিবেন। ময়মনসিংহের অন্যতম নেতা পুণ্যশ্লোক বাবু অনাথবন্ধু গুহের উপর বিতরণের ভার অর্পিত হইয়াছিল।

বল্লা—ময়মনসিংহ।

 আবদুল রসীদ নামক একব্যক্তি দ্বারা রাজেন্দ্রলাল সাহা নামক একটী সপ্তদশ বৎসর বয়স্ক বালকের বিরুদ্ধে দাঙ্গা প্রভৃতির দাবীতে দণ্ডবিধির ১৪৭ ও ৩৭৯ ধারায় অভিযোগ উপস্থাপিত করা হয়। বিচারালয়ে বালক রাজেন্দ্র বিদেশী কলমে নাম স্বাক্ষর করিতে চাহে নাই। তাহার দুই সপ্তাহ কঠোর কারাবাস ও ৬০৲ টাকা জরিমানা হইয়াছিল! সম্মান প্রদর্শনের দিবসে মোকর্দ্দমা বিচারাধীন ছিল, তথাপি সর্ব্বসম্মতিক্রমে “বন্দেমাতরম্” শব্দাঙ্কিত রজত বন্ধনী বা ব্রুচ তাঁহাকে প্রদত্ত হয়।

ময়মনসিংহ—টাঙ্গাইল।

 ডাক্তার শশিধর নিয়োগী পুলিশ দ্বারা গুরুতর ভাবে প্রহৃত হন। তাঁহাকে রজত পরিদোলক প্রদানে অনুরাগ প্রকাশ করা হইয়াছিল।

বরিশাল—মাধবপাশা।

 শ্রীযুক্ত বিলাসচন্দ্র কুঞ্জবিল্ব সেটেলমেণ্ট অফিসারকে “বন্দেমাতরং” শব্দে অভিনন্দন করিয়া দণ্ড বিধির ১৫৭ ও ১০৬ ধারা