পাতা:১৯০৫ সালে বাংলা.pdf/৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

[ ৭৫ ]

মতে অভিযুক্ত হন। বিচারে তাঁহার দুই মাসের জন্য কঠোর কারাবাস এবং দেড়শত টাকার মুচলেখা লওয়া হইয়াছিল।

 বরিশাল বিভাগের যে সকল মহাত্মা কলিকাতার সভায় উপস্থিত থাকিতে পারেন নাই তাঁহাদিগের প্রতি প্রদর্শিত সম্মানের নিদর্শন আমাদিগের অন্যতম নেতা অশ্বিনীবাবুর নিকট প্রেরিত হইয়াছিল।

হ্যারিসন রোড।

 কলিকাতা হ্যারিসন রোডে বিদেশীদ্রব্যবর্জ্জন প্রস্তাবের পোষকতা করিবার উদ্যমে পুলিশের সহিত একদল যুবকের দাঙ্গা হয়। বলা বাহুল্য এ প্রসঙ্গে পুলিশ অকারণে অনেক পথিককেও আসামী করিয়াছিল। বাবু যতীন্দ্রনাথ সিংহ নামক একজন কলিকাতা কলেজের ছাত্র এই ব্যাপারে ধৃত ও চারিজন ইংরাজ ও হিন্দূস্থানী কনষ্টেবল দ্বারা থানায় নীত হন। তাঁহাকে পুলিশ যখন নিজের স্থানে পাইয়া জিজ্ঞাসা করিল—এখন তোমার “বন্দে মাতরম্” কোথায়? যুবা অম্লান বদনে বলিলেন এই বুকের ভিতর “বন্দে মাতরম্” রহিয়াছে।

 বাবু জ্ঞানেন্দ্র নাথ সিংহ, বীরেন্দ্র নাথ মৈত্র প্রভৃতি এই মোকদ্দমায় আসামী ছিলেন। এ অভিযোগের মীমাংসা অনেকের চেষ্টায় “আপোস” হয়। যতীন্দ্রবাবুর বিরুদ্ধে মেডিকেল কলেজের অনেকেই খড়্গহস্ত হওয়াতে তিনি চিকিৎসা শিক্ষা পরিত্যাগ পূর্ব্বক আইন শিক্ষার্থ বিলাত যাত্রা করেন। যাইবার পূর্ব্বে