পাতা:Intermediate Bengali Selections.pdf/১০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অগ্নিীমন্ত্রে দীক্ষা গ্যাসের আলো জালিলে। ধন্য, ধন্য তুমি, বলিয়া উঠিল সমস্ত সাধকগণ। তাহারা আর একশত বৎসর অধিক আয়ু লাভ করিল, সমস্ত নিরাশা, ভয় চলিয়া গেল। একটা বাদ্যের পরিবর্তে একশত বাদ্য স্থাপন করিয়া, বিধানের শ্রীহরি, তোমার নাম গান করিতে লাগিলাম। এদেশের পথঘাট শান্ত হইয়া আসিতেছিল, যুবক-সম্প্রদায় নিস্তেজ, নিরুদ্যম ও নিস্তব্ধ হইয়া পড়িতেছিল, কত ব্রাহ্ম ভ্রাতা, ব্রাহ্মিক ভগ্নী উৎসাহ-হারা হইয়া ধর্ম্মের পথ ছাড়িয়া সংসারে ঢুকিতেছিলেন, হে করুণাসিন্ধু উৎসাহ দাতা! তোমার ধর্ম্মকে রক্ষা করিবার মানস করিয়া, সকল দুরবস্থার মধ্যে তুমি পথ ঘাট সমস্ত অগ্নিময় করিয়া দিলে। নিস্তািন্ধ রসনাকে এমনই উত্তেজিত করিলে যে, সেই অবসর রসনা আগুনের মত কথা কহিতে লাগিল। বৃক্ষলতায় আবার তোমায় দেখিলাম, সংসারে আবার তোমায় দেখিলাম, জলের মধ্যে পুনরায় তোমাকে দর্শন করিলাম, আর আগুনের ভিতর ত কথাই নাই। গেলাম গেলাম করিয়া আবার বঁাচিলাম। পুরাতন হইতে তুমি দিলে না। নবীন উদ্যম উত্তাপ পাইয়া রহিয়া গেলাম। পাপ না করিলেও মরিতাম; নিতান্ত মিথ্যাবাদী শঠ না হইলেও কেবল সংসারের হাতে পড়িয়া মরিতাম। আজও যেখানে নগর-কীর্ত্তন হইতেছে, কি প্রমত্ত বৈরাগীদের মত্ততাই দেখিতেছি। ধন্য ধন্য তুমি!! এমনই চির-নবীন ধর্ম্ম দিয়াছ যে, কাহারও উৎসাহ আর কমিতে চায় না। আর যে কেহ কোন কালে ইহা লইয়া বলহীন উৎসাহহীন হইয়া মরিতে পারে, একথা বিশ্বাস করি না। নববিধানে মরণ ত নাই; শীতলতা একেবারে নাই। আমার গুণে নয়, ভাইদের গুণে নয়, তোমার