পাতা:Intermediate Bengali Selections.pdf/১৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঐহিক অমরত RA ইতিহাস অথবা মানবজনীন স্মৃতি তৃতীয় এক প্রকারে “প্রস্তাবিত প্রশ্নের উত্তর করিতেছে এবং উহা মনুষ্যের আত্মাকে বিজ্ঞানের ন্যায় অন্ধকারে না ডুবাইয়া এবং হৃদয়োদ্ভূত আশার ন্যায় লোকান্তরের অপার্থিব জগতেও প্রেরণ না করিয়া ইহলোকেই অমরতার আশ্বাস দিতেছে। ইহা বলা অনাবশ্যক যে, আমরা পারলৌকিক আশার যে সকল কথা উল্লেখ করিয়াছি, সেগুলি পৃথিবীর পুরাতন ও নূতন সুসভ্য ও অসভ্য সমুদয় জাতিরই জীবনগ্রন্থির সহিত গ্রথিত রহিয়াছে, এবং কবিতাও সেই সকল কথার অমৃতপ্রবাহে অভিষিক্ত হইয়াই সংসারের দগ্ধমরুতে অমৃতসেচন করিতেছে। কিন্তু আমরা যে কারণে মানুষ্যের উৎপত্তিতত্ত্ব সম্বন্ধে কিছু বলিতে যাই নাই, মানুষ্যের আধ্যাত্মিক পরকাল সম্বন্ধেও আমরা সেই কারণেই এইক্ষণ কিছু বলিব না। মনুষ্য ইতিহাসের অভ্রান্ত আলোকেও শ্মশানের পরপারে কিছু দেখিতে পায় কিনা, শুধু ইহাই এইক্ষণ আমাদিগের আলোচনার বিষয়। তবে ইতিহাস কি আশার পরকাল সম্বন্ধে সন্দিহান? তাহা নহে। আমরা পূর্বেই বলিয়াছি যে, ইতিহাসের আর এক নাম স্মৃতি, অথবা স্মৃতিতেই উহা গঠিত এবং অনুপ্রাণিত। স্মৃতি যদি আশার কার্য্য না করে, তাহা হইলে উহা স্মৃতির অপরাধ নহে; এবং ইতিহাসও যদি অধ্যাত্মিজ্ঞানের ফলপ্রদানে অসমর্থ হয়, তাহা হইলে ‘তাহাও ইতিহাসের অপরাধ বলিয়া গণ্য হয় না। ইতিহাস কি বলিতেছে? যাহা স্মৃতি শ্রীতির উচ্ছাসে সর্বত্র বলিয়া বলিয়া অবসর হয়, ইতিহাস ও শৈলশৃঙ্গসমারািঢ় সর্ব্বদশী সিদ্ধযোগীর ন্যায়, গভীর অথচ মোহনস্বরে সেই কথাই দিনে নিশীথে সর্ব্বত্র বলিতেছে

  • আমি ভুলি a' 鼎