পাতা:Intermediate Bengali Selections.pdf/১৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

VSy" वांग्रांडीव्र वैौद्र বিক্রমপুরের কায়স্থবংশীয় চাদ রায় ও কেদার রায় এক সময়ে পরাক্রান্ত ভূস্বামী বলিয়া প্রসিদ্ধ ছিলেন। যে ঈশা খাঁর বীরত্বে মোগলসেনানী বিস্মিত হন, সেই ঈশা খার সহিত এই দুই ভ্রাতার সর্ব্বদা যুদ্ধ হইত। ঈশা খাঁর সহিত যুদ্ধে চাদ রায় ও কেদার রায় দীর্ঘকাল আপনাদের স্বাধীনতা রক্ষা করেন। বাকচন্দ্রৰীপের ( বর্ত্তমান বাখরগঞ্জ জেলা ) কনিদর্পনারায়ণ রায় ও সুন্দরবনের সন্নিহিত প্রদেশের মুকুন্দ রায় বীরত্বে বিখ্যাত ছিলেন। ১৫৮৬ খ্রীঃ অব্দে রালফ ফিচু বাক্লাচন্দ্রদ্বীপ দৰ্শন করেন। তাহার লিখিত বিবরণে স্পষ্ট বোধ হয়, বা ক্লাচন্দ্রদ্বীপ বর্ত্তমান স্বাধীন রাজাদিগের শাসিত রাজ্য অপেক্ষা কোন অংশেই নিকৃষ্ট ছিল না। কন্দৰ্পণ নারায়ণের অনেক সমর-পোত ছিল। অদ্যাপি তাহার একটি পিতলের কামান চন্দ্রদ্বীপে আছে। ফরিদপুরের নিকটবর্ত্তী চরমুকুন্দিয়া নামক স্থানে মুকুন্দ রায় দিল্লীশ্বরের একজন সেনানীকে যুদ্ধে নিহত করেন। তাহার পুত্র শত্রুজিৎ মোগল সম্রাট জাহঁাগীরের অধীনতা স্বীকার করেন নাই। খ্রীষ্টীয় সপ্তদশ শতাব্দী পর্য্যন্ত বাঙ্গালায় বাঙ্গালীদিগের এইরূপ প্রতাপ ছিল। অষ্টাদশ শতাব্দীতে আমরা যশোহরের রাজা সীতারামকে দেখিতে পাই। কেহ কেহ সীতারামকে একজন ডাকাইত বলিয়া নির্দেশ করিয়াছেন। আমরা এই কথার অনুমোদন করি না। সীতারাম। একজন পরাক্রান্ত হিন্দু জমীদার। সে সময়ে বাঙ্গালার আর কেহই সাহসে ও বীরত্বে তাহার সমকক্ষ ছিল না। সীতারামের সেনাপতি মেনাহাতীর নামে অদ্যাপি যশোহরের লোকের হৃৎকম্প হইয়া থাকে। সীতারামের পরাক্রম: যখন বাড়িয়া উঠে, তখন বাহাদুর শাহ ও ফররেখািসয়ের যথাক্রমে