পাতা:Intermediate Bengali Selections.pdf/১৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাঙ্গালীর বীরত্ব S9 AS2)r দিল্লীর সিংহাসনে অধিষ্ঠিত ছিলেন। এই সময়ে যশোহর জেলা দ্বাদশ চাকলায় বিভক্ত ছিল। এই সকল চাকলার অধিস্বামিগণ বাদ্যসাহিকে কর দিতেন না। বাদসহ সীতারামের পরাক্রমের কথা শুনিয়াছিলেন, সুতরাং তঁহাকেই এই অবাধ্য জমীদারদিগকে বশীভূত করিতে অনুরোধ করেন। সীতারাম বাদাসাহের আদেশলিপি পাইয়া, অবিলম্বে অবাধ্য জমীদারদিগকে দমন করিয়া দ্বাদশ চাকলার অধিকারী হন এবং বাদসাহ হইতে এই কার্য্যের পুরস্কারস্বরূপ ‘রাজা” উপাধি লাভ করেন। ইহার পর সীতারাম বাঙ্গালার নবাবের অধীনতা উচ্ছেদ করিলে, নবাব তাহার শাসন জন্য অনেক বার সৈন্য পাঠান, কিন্তু সীতারামের বীরত্বে নবাবের সৈন্য বারংবার পরাভূত হয়। নবাব অবশেষে অনেক সৈন্যের সহিত স্বীয় জামাতা আবুতরাবকে পাঠাইয়া দেন। মহাপরাক্রম মোনাহান্তী সীতারামের অনুপস্থিতিতেই এই সৈন্যদল পরাজয় করেন, এবং নবাবজামাতা আবুতরাবের ছিন্ন-মস্তক আনিয়া সীতারামকে দেখান। পূর্বে বাঙ্গালী শত্রুর আক্রমণে পলায়ন করিত না। যে সময়ে আলীবর্দী খাঁ বাঙ্গালা, বিহার ও উড়িষ্যার শাসনদণ্ড পরিচালনা করিতেছিলেন, সে সময়ে রাজা কীর্ত্তিচাদ ও রাজা রামনারায়ণ শত্রুর সহিত যুদ্ধ করিতে পরাস্মুখ হন নাই। মস্তাফা খাঁ যখন বিদ্রোহী হইয়া আলীবর্দী খাঁর সৈন্যদল পরিত্যাগপূর্বক আজিমাবাদ আক্রমণ করেন, তখন তথাকার দেওয়ান জৈন-উদ্দীন, কীর্ত্তিচাদ ও রামনারায়ণের হন্তে সৈন্যাধ্যক্ষতা সমৰ্পণ করেন। ইহারা অন্যান্য মুসলমান সেনাপতির ন্যায় মস্তাফা খার সহিত যুদ্ধ করিয়াছিলেন।