পাতা:Intermediate Bengali Selections.pdf/১৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Y8 e বাঙ্গালীর বীরত্ব ঐতিহাসিকের মতে সিরাজউদৌলার সেনাপতি দেওয়ান মাণিকচাদ ও মোহনলাল বাঙ্গালী। সিরাজউদৌলা যখন কলিকাতায় ইংরেজদের দুর্গ আক্রমণ করেন, তখন মাণিকচাদ আক্রমণকারী সৈন্যদলের অধ্যক্ষ ছিলেন। পলাসীর যুদ্ধক্ষেত্রে মোহনলালের কিরূপ বীরত্ব প্রকাশ পাইয়াছিল, তাহা বাঙ্গালার ইতিহাস-পাঠকের অবিদিত নাই। এস্থলে ইহা বলিলেই যথেষ্ট হইবে যে, মীরজাফর বিশ্বাসঘাতক হইয়া সিরাজউদৌলাকে কুপরামর্শ না দিলে, পলাসীর যুদ্ধে জয়ী হওয়া ক্লাইবের পক্ষে দুর্ঘট হইত। বাঙ্গালী এক সময়ে ব্রিটিশ তেজের নিকটেও অবনত इब नांई। অধিক উদাহরণ দিবার প্রয়োজন নাই। যাহা কিছু বলহইল, তাহাতে বাঙ্গালী ব্রিটিশ অধিকারের পূর্বে কিরূপ ক্ষমতাপন্ন ছিল, বুঝা যাইবে। আমরা এক্ষণে বাঙ্গালীর সাহসের একটি উদাহরণ দিব। ইতিহাস নির্দেশ করে, শূরবংশীয় ফরিদ স্বহস্তে একটি প্রকাণ্ড ব্যাস্ত্র হত্যা করিয়া “শের সাহ” নাম ধারণ করেন। অস্তাজিলো এক সময়ে এইরূপ পরাক্রম দেখাইয়া “শের আফগান” নাম পরিগ্রহ-পূর্বক অতুল লাবণ্যবতী নুরজাহানের সহিত পরিণয়-সুত্রে আবদ্ধ হন। একাকী একটা বাঘকে মারিয়া ফেলিতে ইতিহাসে এই দুই বীরের সাহসের বড় প্রশংসা দেখিতে পাওয়া যায়। ফরিদ ও অস্তাজিলো যে সাহস দেখাইয়া ইতিহাসে নাম রাখিয়াছেন, হতভাগ্য বাঙ্গালার একজন হিন্দুযুবকও এক সময়ে এই সাহস দেখাইয়াছিলেন। কিন্তু বাঙ্গালার ইতিহাসের পত্রে আজ পর্য্যন্তও তাহার নাম পাওয়া যায় না। এই বাঙ্গালী যুবকের নাম উদয়নারায়ণ মজুমদার-উপাধিক মিত্র বংশীয়। বাক্লাচন্দ্রৰীপের