পাতা:Intermediate Bengali Selections.pdf/১৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হেমচন্দ্র ও মধুসুদন শিক্ষিত বাঙ্গালির প্রধান কবি পাঁচ জন,-মধুসুদন, হেমচন্দ্র, নবীনচন্দ্র, রবীন্দ্রনাথ ও গিরিশচন্দ্র। শেষের তিনজন, বাঙ্গালির সৌভাগ্য থাকিলে, আরও কত দিন কত নব নব রসে আমাদিগকে অভিষিক্ত করিবেন, তাহদের সঙ্গে আমরা কত হাসিব কাদিব; কত শত বিচিত্র সংসারের লীলাখেলা, তাহারা আমাদিগকে দেখাইবেন-সুতরাং তঁহাদের কবিত্বের সমালোচনার দিন এখনও আসে নাই। না আসাই প্রার্থনীয়। হেমচন্দ্রের সহিত র্তাহাদের কাহারও এখন তুলনাই হইতে পারে না। তবে মধুসূদনের -সহিত হেমচন্দ্রের তুলনা হইতে পারে হেমচন্দ্রকে বুঝিতে হইলে তুলনা করাও বোধ করি কর্ত্তব্য। ১৮৬৫ খৃষ্টাব্দে মধুসূদনের ‘মেঘনাদ-বধ, বি, এর পাঠ্য বলিয়া স্থির হইল।” তৎপুর্বেই হেমচন্দ্র সটীক মেঘনাদ-বধ প্রকাশিত করিয়াছিলেন। সুদীর্ঘ ভূমিকায় হেমচন্দ্র বাঙ্গালিকে নব-প্রবর্ত্তিত “মিতাক্ষর” বুঝাইবার চেষ্টা ক্লারিলেন,-বড় আগ্রহে, বড় উৎসাহে, বড় অনুরাগে, বড় ব্যাকুলতা-সহকারে। তখন হেমচন্দ্র “চিন্তান্তরঙ্গিণী”-প্রণেতা হাইকোটের একজন নাম লেখান” উকীল মাত্র। কিন্তু ‘মধুময় মিতাক্ষর বুঝাইবার সেই আগ্রহ, দুৰ্বোিধ মধুকুট বুঝাইবার জন্য টীকায় সেই যত্ন-উকীলের ওকালতি বলিয়া বোধ হইল না। বোধ হইল, হেমচন্দ্র মধুসূদনের “মোড়া, মধুসূদনের ভক্ত, মধুসূদনের শিষ্য। 臀