পাতা:Intermediate Bengali Selections.pdf/১৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SV8 সেকালের সুখদুঃখ কেঁচা দোলাইয়া অনাবৃত দেহ-সৌষ্ঠবের গৌরব বাড়াইবার জন্য কাধের উপর রঙ্গিণ গামছা ছড়াইয়া দিয়া, বাবরী-চুলে চিরুণী গুজিয়া, শুক সারী অথবা নিতান্ত অভাবপক্ষে একটা পোষা বুলবুল হাতে লইয়া, তাম্বুল-রাগ-রঞ্জিত অধরেীষ্ঠে মৃদুমন্দ শিস্য দিতে দিতে-পাড়ায় বেড়াইতে বাহির হইত। বৃদ্ধের গৃহকর্ম্ম সারিয়া, পর্য্যাপ্ত ভোজনের পর তৈলাক্ত স্নিগ্ধতনু দিবা-নিদ্রায় সমাহিত করিয়া, সায়াহ্নে বর্তমাকু সেবনের জন্য চণ্ডীমণ্ডপে, নদীসৈকতে অথবা বৃক্ষতলে সমবেত হইয়া, দেশের কথা, দশের কথা, কত কি আবশ্যক অনাবশ্যক বিষয়ের মীমাংসা করিয়া, সন্ধ্যার পর হরিসঙ্কীর্ত্তনে অথবা পুরাণশ্রবণে ভক্তি গদগদ হৃদয়ে নিমগ্ন হইতেন। সমাজের র্যাহারা লক্ষ্মীরূপিণী অৰ্দ্ধাঙ্গিনী, তাহারা দেবতা, ব্রাহ্মণ, অতিথি ও পোষ্যবর্গের সেবা করিয়া, সময়ে অসময়ে ছেলে ঠেঙ্গাইয়া, নথ নাড়িয়া, চুল খুলিয়া, সন্ধ্যার শীতল বাতাসে পুকুর-ঘাট আলো করিয়া বসিতেন; কত কথা, কত রঙ্গরস-তার সঙ্গে প্রৌঢ়ার সগৰ্ব-হস্তসঞ্চালন, নবীনার অবগুণ্ঠনজড়িত অস্ফুট সখী-সম্ভাষণ, এবং স্থবিরার স্বল্যদবচনে শিবমহিমস্তোত্রের বিকৃতি-আবৃত্তি সান্ধ্য সম্মিলনকে কতই মধুময় করিয়া তুলিত। - সে দিন। আর নাই; এখন আমরা সভ্য হইয়াছি। বালকেরা দন্তোদগমের পূর্বেই, ক, খ, ধরিয়া পাচ ঘণ্টা স্কুলের কঠিন কাষ্ঠাসনে কখন দাড়াইয়া, কখনও বা বসিয়া, বৈকালে গৃহশিক্ষকের তীব্র তাড়না, সহ করিয়া, আহার না করিতেই ঘুমাইয়া পড়ে; যুবারা হয়। অন্ন! হা অল্প! করিয়া চাকরীর আশায়, উমেদারীর আশায়, কখনও বা শুধু একখানি প্রশংসাপত্র পাইবার আশায়,