পাতা:Intermediate Bengali Selections.pdf/১৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মধুসূদনের কাবানুরক্তি ᎩᏔ2Ꮔ; মহাভারত-সম্বন্ধে মধুসূদনের অনুরাগের কখনও খর্বত হয় নাই। পূর্ণবয়সে যখন সংস্কৃত, পারসীক, লাটিন, গ্রীক, ইংরাজী, ফরাসী, জর্ম্মাণ এবং ইতালীয়ান- পৃথিবীর এই আটটা প্রধান ভাষার রত্নভাণ্ডার তাহার নিকট উন্মুক্ত হইয়াছিল এবং যখন তিনি বাল্মীকি, হোমর, ভাৰ্জিল, দান্তে এবং মিণ্টন প্রভৃতি মহাকবিদিগকে সুন্দাদরূপে প্রাপ্ত হইয়াছিলেন, তখনও তিনি তাহার শৈশবের সহচর, দরিদ্র কাশীরাম দাস ও কৃত্তিবাসকে বিশ্বত হইতে পারেন নাই। তাহার মান্দ্রাজ হইতে প্রত্যাগমনের পর তাহার কোন আত্মীয়,তাহার সহিত সাক্ষাৎ করিতে যাইয়া দেখেন, তিনি একখানি কাশীদাসী মহাভারত মনোযোগের সহিত পাঠ করিতেছেন। মধুসূদন বেশভূষায় এবং আহার-ব্যবহারে সাহেবের ন্যায় থাকিতেন; সুতরাং ত্যাহার আত্মীয়া ব্যঙ্গ্য করিয়া বলিলেন, “একি। সাহেব লোকের হাতে মহাভারত?” মধুসুদন হাসিয়া বলিলেন, “সাহেব আছি বলিয়া কি বইও পড়িতে দিবে না? রামায়ণ, মহাভারত আমার কেমন ভাল লাগে, না পড়িয়া থাকিতে পারি না।” মান্দ্রাজে অবস্থান কালে, যখন চর্চার অভাবে, তিনি বাঙ্গালাভাষা বিশ্বত হইতেছিলেন, তখনও তিনি, কলিকাতা হইতে রামায়ণ ও মহাভারত আনাইয়া, যত্নের সহিত পাঠ করিতেন। কেবল রামায়ণ, মহাভারত নহে; বাঙ্গালা ভাষার অনেক প্রাচীন কাব্যই তিনি অতি সমাদরের সহিত পাঠ করিতেন, এবং সেই সকল কাব্যের অনেক স্থলই তাহার কণ্ঠস্থ ছিল। চতুৰ্দশপদী কবিতাবলীতে তিনি তাহার স্বদেশীয় কবিগণের প্রতি যে সম্মান প্রদৰ্শন