পাতা:Intermediate Bengali Selections.pdf/১৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মধুসূদনের কাব্যানুরক্তি SAS তাহার সকল গুলিরই উল্লেখ করিয়াছি। কেবল তাহার কপোতাক্ষী-সলিল-বিধৌত, গ্রাম্য-সৌন্দর্য্যপূর্ণ জন্মভূমির বিষয় উল্লেখ করি নাই। প্রকৃতি আপন নীরব ভাষায় যে শিক্ষা প্রদান। করেন, পৃথিবীর কোন কাব্য বা কোন উপদেষ্টার উপদেশ হইতে সে শিক্ষা লাভ করিতে পারা যায় না। প্রকৃতির নিত্য নবীন মুখশ্রী যে কত অপ্রেমিককে প্রেমিক ও কত আকবিকে কবি করিতেছে, তাহার সংখ্যা নাই। সেইজন্য মধুসূদনের শৈশবের অন্যান্য অনুকুল উপাদানের ন্যায়, তাহার জন্মভূমির কথারও উল্লেখ আবশ্যক। প্রকৃতির অতি সৌন্দর্য্যময় নিকেতনে মধুসূদনের শৈশব অতিবাহিত হইয়াছিল। এক্ষণে ম্যালেরিয়ার প্রকোপে স্পষ্টগৌরব হইলেও তাহার জন্মভূমি সাগরদাড়ী অতি সুকোমল গ্রাম্য-শোভায় পূর্ণ। নদী, প্রান্তর, এবং বৃক্ষলতা প্রভৃতি যে সকল উপাদান লইয়া বঙ্গের পল্লীগ্রামের সৌন্দর্য্য, তাহার কোনটীরই সেখানে অভাব নাই। নির্ম্মলসলিলা কপোতাক্ষী, ইহার তিনদিক বেষ্টন করিয়া, ধীরে ধীরে প্রবাহিত হইতেছে। ঘনসন্নিবিষ্ট বৃক্ষশ্রেণী, শাখায় শাখায় সম্বদ্ধ হইয়া, স্থানে স্থানে, “তাতার উপর অবনত হইয়া পড়িয়াছে। শু্যামল তৃণাচ্ছাদিত ভূমি, নদীর তট হইতে জলের রেখা পর্য্যন্ত, প্রসারিত রহিয়াছে। নগরের কৃত্রিমতার সঙ্গে সেখানকার কোন সম্বন্ধ নাই। প্রকৃতি অতি সরল, গ্রাম্য-মূর্ত্তিতে সেখানে বিরাজিত। নদীজলে কুলললনাগণ স্নানাবগাহন করিতেছেন; ক্ষুদ্র, বৃহৎ নানাপ্রকারের তরণী-সমূহ নদীবক্ষে গমনাগমন করিতেছে; কৃষকবনিতাগণ, কলসীকক্ষে, নদীতটে দণ্ডায়মান হইয়া, একদৃষ্টিতে তাহাদিগের পানে চাহিয়া রহিয়াছে; রাখালবালকগণ পশুপাল,