Տ ԳNշ বঙ্গী-সাহিত্যের ভবিষ্যৎ সহিত প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দেশবাসীদিগকে জয়ী করিতে হইলে, কেবল এ দেশীয় নহে, বিদেশীয় আয়ুধেও সন্নদ্ধ হইতে হইবে। সুতরাং জাতীয় সাহিত্যগঠন-সম্বন্ধে অদ্য আমার বিশেষ কিছু বলিবার। নাই। অন্ত আমার প্রধানত: বক্তব্য এই যে, শুধু বঙ্গের জাতীয় সাহিত্যগঠন করিলেই চলিবে না, বঙ্গের জাতীয় সাহিত্য কি উপায়ে জগতের অপরাপর দেশের বিদ্বদ্বন্দেরও আরাধ্য হইতে পারে, তাহার চিন্তা করিতে হইবে। এবং সেই চিন্তা-প্রসুত উপায় অবলম্বনপূর্বক বঙ্গসাহিত্যের অঙ্গপুষ্ট করিতে হইবে। তবেই ত বঙ্গভাষা অমরত্ব লাভ করিবে। যদি এমন ভাবে বঙ্গসাহিত্য গঠিত হয়, এমন সম্পদে বঙ্গসাহিত্য সুসম্পন্ন হয় যে, সেই সম্পদের উৎকর্ষে পৃথিবীর অপরাপর মনীষিগণেরও চিত্ত আমার বঙ্গসাহিত্যের প্রতি, আকৃষ্ট হয়, আজ যেমন আমরা অনেক অনর্ঘ এবং শিক্ষণীয় বিষয় আয়ত্ত করিবার নিমিত্ত পাশ্চাত্য দেশের অনেক ভাষা শিখিতে প্রয়াস করিয়া থাকি, সেইরূপ বঙ্গভাষায় যদি এমন অনেক উৎকৃষ্ট উৎকৃষ্ট বিষয়, আবিষ্কৃত এবং উপনিবদ্ধ হয়, যাহা কৃতবিদ্য মাত্রেরই সর্ব্বথা অবশ্যশিক্ষণীয়, অথচ পৃথিবীর অন্য কোন ভাষায় ঐ ঐ বিষয়সমূহ, এতাবৎকাল লিখিত হয় নাই, তাহা হইলে, পৃথিবীর সর্বস্থানের বিদ্বদ্বন্দই সাগ্রহে বঙ্গভাষা শিক্ষা করিবেন। সম্পূর্ণরূপে মানুষ হইতে হইলেই যাহাতে বঙ্গভাষাও অপরাপর ভাষার ন্যায় শিখিতে হয়, না শিখিলে, অনেক অবশ্যজ্ঞাতব্য বিষয় চিরকালের মত অজ্ঞাত থাকিয়া যায়, সুতরাং অন্য শত ভাষার শিক্ষাতেও পুরা মানুষ হওয়া যায় না, যদি এমনই ভাবে বঙ্গভাষার সম্পদ বৃদ্ধি করা: ষায়, তবেই বঙ্গভাষা জগতে চিরস্থায়িনী হইবে, বাঙ্গালার ভাষা জগতের অন্যান্য প্রধানতম ভাষার শ্রেণীতে সমুন্নীত হইবে। অন্যথা,
পাতা:Intermediate Bengali Selections.pdf/১৯৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।