পাতা:Intermediate Bengali Selections.pdf/২১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

à obro বঙ্গসাহিত্যে বিজ্ঞান মত সুগম ছিল না। তুষারমণ্ডিত মেরুপ্রদেশের প্রাকৃতিক অবস্থা জানিবার জন্য কত অর্থব্যয়ে কতবার অভিযান প্রেরণ করা হইয়াছে; কত বৈজ্ঞানিক তাহাতে প্রাণ বিসর্জন দিয়াছেন। পাশ্চাত্যদেশের কি অদম্য উৎসাহ! কি অতৃপ্ত জ্ঞানপিপাসা। যখন ন্যানসেন (Nansen) ফিরিয়া আসিলেন সমগ্র ইউরোপ ও আমেরিকা তাহার। ভ্রমনকাহিনী শুনিবার জন্য ব্যাকুল। ফল কথা এই যে, আমরা যত দিন স্বাধীনভাবে নূতন নূতন গবেষণায় প্রবৃত্ত হইয়া মাতৃভাষায় সেই সকল তত্ত্ব প্রচার করিতে সক্ষম না হইব ততদিন আমাদের ভাষার এই দারিদ্র ঘুচিবে না। প্রায় সহস্ৰ বৎসর ধরিয়া হিন্দুজাতি একপ্রকার মৃতপ্রায় হইয়া রহিয়াছে। যেমন “ ধনীর সন্তান পৈতৃক বিষয়-বিভব হারাইয়া নিঃস্বভাবে কালাতিপাত করেন। অথচ পূর্ব-পুরুষগণের ঐশ্বর্য্যের দোহাই দিয়া গর্ব্বে স্ফীত হন, আমাদেরও দশা সেইরূপ। লেকি বলেন যে, খৃঃ অঃ দ্বাদশ শতাব্দী হইতে ইয়োরোপখণ্ডে স্বাধীন চিন্তার স্রোত প্রথম প্রবাহিত হয়; প্রায় সেই সময় হইতেই ভারতগগন তিমিরাচ্ছন্ন হইল। অধ্যাপক বোবর (Weber) যথার্থই বলিয়াছেন ভাস্করাচার্য্য ভারত-গগনের শেষ নক্ষত্র। সত্য বটে। আমরা নব্য-স্মৃতি ও নব্য-ন্যায়ের দোহাই দিয়া বাঙ্গালীমস্তিষ্কের প্রখরতার শ্লাঘা করিয়া থাকি; কিন্তু ইহা আমাদের স্মরণ রাখিতে হইবে যে, যে সময়ে রঘুনাথ, গদাধর ও জগদীশ, প্রভৃতি মহামহোপাধ্যায়গণ বিবিধ জটিল টীকা টিল্পনি রচনা করিয়া টোলের ছাত্রদিগের আতঙ্ক উৎপাদনা করিতেছিলেন, যে সময়ে এখানকার জ্যোতির্বিদ্যুবৃন্দ প্রাতে দুই দণ্ড দশ পল গাতে