পাতা:Intermediate Bengali Selections.pdf/২২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ক্ষমার আদর্শ চন্দ্র ধীর গতিতে মেঘের কোলের ভিতর দিয়া বহিয়া যাইতে ছিল। নীচে নদী কুল কুল শব্দে বায়ুর সঙ্গে সুর মিশাইয়া নাচিতে নাচিতে বহিয়া যাইতেছিল। আধ জোছনা আধ অন্ধকারে মিশিয়া পৃথিবীর সৌন্দর্য্য অপূর্ব্ব দেখাইতেছিল। চারিদিকে ঋষির আশ্রম। এক একটী আশ্রম নন্দন বনকে ধিকার প্রদান করিতেছিল। এক একখানি ঋষির কুটির তরু, পুষ্প ও বৃক্ষলতা শোভিত হইয়া অপূর্ব্ব শ্রী ধারণ করিয়াছিল। একদিন এইরূপ জ্যোৎস্নাপুলকিত রাত্রে ব্রহ্মর্ষি বশিষ্ঠদেব সহধর্ম্মিণী অরুন্ধতী দেবীকে বলিতেছিলেন, “দেবি, ঋষি বিশ্বামিত্রের নিকট হইতে একটু লবণ ভিক্ষা করিয়া আন ৷” এই প্রশ্নে অরুন্ধতী দেবী বিস্মিত হইয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, “প্রভু, এ কি আজ্ঞা করিতেছেন, আমি কিছুই বুঝিতে পারিতেছি না। যে আমায় শত পুত্র হইতে বঞ্চিত করিয়াছে—” এই কথা বলিতে বলিতে দেবীর সুর অশ্রুপূর্ণ হইয়া উঠিল, সমস্ত পূর্ব্ব-স্মৃতি জাগিয়া উঠিল, সে অপূর্ব্ব শাস্তির আলয় গভীর হৃদয় ব্যথিত হইল, তিনি বলিতে লাগিলেন“আমার শত পুত্র এই জোছনা-শোভিত রাত্রে বেদ গান করিয়া বেড়াইত, শত পুত্রই আমার বেদজ্ঞ ও ব্রহ্মনিষ্ঠ, আমার এইরূপ শত পুত্রই সে বিনষ্ট করিয়াছে; তাহার আশ্রম হইতে লবণ, ভিক্ষা করিয়া আনিতে বলিতেছেন? আমি কিংকর্ত্তব্যবিমূঢ় कुश्ब्रांछि।”