পাতা:Intermediate Bengali Selections.pdf/২২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SS o সিদ্ধিদাতা গণেশ ঠিক এই প্রকারেই আমরা দলে দলে ডাক্তার হইতে যাই। ঠিক এই প্রকারেই আমরা বঁাকে বঁাকে চাকুরীর উমেদার হই। ঠিক এই প্রকারেই আমরা পালে পালে মুদ্রাযন্ত্রের আশ্রয় লইয়া গ্রন্থকার হইয়া উঠি। ইংরাজী শিখিয়া আমরা আমাদের দেশের সকল জিনিসই ঘূণার চক্ষে দেখি। তাই কোন দিক না দেখিয়া ভূত ভবিষ্যৎ বর্তমান কিছুই না বুঝিয়া এক একটা ভাবের বা অপরিপক সংস্কারের তাড়নায় আমরা উন্মত্তের ন্যায় গৃহসংস্কার, সমাজসংস্কার, ধর্ম্মসংস্কার প্রভৃতি আকাশ পাতাল সংস্কার করিতে যাই। কোন সংস্কারই করিতে পারি না। বরং একটা দোষের সংস্কার করিতে গিয়া দশটা দোষের সৃষ্টি করিয়া বসি। রোগীর রোগের চিকিৎসা করিতে গিয়া আমরা আধ মিনিটের মধ্যে রোগের পরীক্ষা শেষ করিয়া এমনি ঔষধাদির ব্যবস্থা করি যে, আধা ঘণ্টার মধ্যেই স্বয়ং রোগীরাও শেষ হইয়া যায়। এইরূপ সকল কার্য্যে আমরা মনে করি যে, তাড়াতাড়ি হুড়াহুড়ি লম্মফঝম্বন্ধ করিলে খুব কাজ করা হয়। তাই যেমন আমাদের মনে একটা খেয়াল উঠে আমনি আমরা তদনুসারে। কার্য্য করিতে যাই। তাই আমরা কোন কার্য্যে সিদ্ধিলাভ করিতে পারি না। অতএব, এই হঠকারিতা ও আবেগানুবর্ত্তিতার দিনে সিদ্ধিদাতা গণেশের কথা স্মরণ করা বড় আবশ্যক। গণেশের সেই স্থির ধীর গম্ভীর শাস্ত সংযত চিন্তাশীল মূর্ত্তি চিত্তে অঙ্কিত করিয়া সকল কার্য্য স্থির ধীর গভীর শান্ত সংযত ও চিন্তাশীল প্রণালীতে না করিলে আমাদের বিশৃঙ্খলতা দিন দিন বাড়িয়া যাইবে এবং ঘরে বাহিরে আমরা সকল প্রকার দুঃখ কষ্ট ও লাঞ্ছনার ভাগী হুইব। অতএব আমাদের সকলেরই ভক্তিভাবে সেই সিদ্ধিদাতা গণেশমূর্ত্তি চিত্তে