পাতা:Intermediate Bengali Selections.pdf/২৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

રડr ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর বিন্যাসাগরের মহত্বের সম্মুখীন হইলে, আমাদের ক্ষুদ্রত্বের উপলব্ধি জন্মিয় যে আত্মপ্লানি উপস্থিত হয়, এইরূপে সেই আত্মগ্লানির কতকটা ওজর মিলিতে পারে। আমরা যে বিদ্যাসাগরের সম্মুখে দাড়াইতে সঙ্কুচিত হই, এইরূপে তাহার কতকটা সাত্মনা মিলিতে পারে বটে, কিন্তু এই দেশে এই জাতির মধ্যে সহসা বিদ্যাসাগরের মত একটা কঠোর কঙ্কালবিশিষ্ট মনুষের কিরূপে উৎপত্তি হইল, তাহা বিষম সমস্যা হইয়া দাড়ায়। সেই দুৰ্দম প্রকৃতি, যাহা ভাঙ্গিতে পারিত, কখন নোয়াইতে পারে নাই; সেই উগ্র পুরুষকার, যাহা সহস্ৰ বিস্ত্র ঠেলিয়া ফেলিয়া আপনাকে অব্যাহত করিয়াছে; সেই উন্নত মস্তক, যাহা কখন ক্ষমতার নিকট ও ঐশ্বর্য্যের নিকট অবনত হয় নাই; সেই উৎকট বেগবতী ইচ্ছা, যাহা সৰ্ববিধ কপটাচার হইতে আপনাকে মুক্ত রাখিয়াছিল, তাহার বঙ্গদেশে আবির্ভাব একটা DBDDBD BDBBBD DBDB BB DBS DBS BDS DDDD S এই উগ্রতা, এই কঠোরতা, এই দুৰ্দমাতা ও অনম্যতা, এই দুৰ্দ্ধৰ্ষ বেগবত্তার উদাহরণ, যাহার কঠোর জীবনদ্বন্দ্বে লিপ্ত থাকিয়া, দুই ঘা দিতে জানে ও দুই ঘা খাইতে জানে, তাহদের মধ্যেই পাওয়া যায়; আমাদের মত যাহারা তুলির দুধ চুমুক দিয়া পান করে ও সেই দুধে মাখন তুলিয়া জল মিশাইয়া লয়, তাহাদের মধ্যে এই উদাহরণ কিরূপে মিলিল, তাহা গভীর আলোচনার বিষয়। সেই জন্যই বিদ্যাসাগরকে আমাদের বলিয়া পরিচয় দিতে বিধা, হয়। অনেকে বিদ্যাসাগরের চরিত্রে পাশ্চাত্য জাতিসুলভ বিবিধ গুণের বিকাশ দেখেন। ইউরোপীয়দের আমরা যতই নিন্দ করি,