পাতা:Intermediate Bengali Selections.pdf/২৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

व्लक्षा° বালিকাণ্ডে লিখিত श्प्छ, লক্ষ্মণ রামচন্দ্রের “প্রাণইবাপরঃ”— অপর প্রাণের ন্যায়। ভরত ছাড়া আমরা রামকে কল্পনা করিতে পারি, এমন কি সীতা ছাড়া রামচরিত্র কল্পনা করিবার সুবিধাও কবিগুরু দিয়াছেন, কিন্তু লক্ষ্মণ ছাড়া রামচরিত্র একান্ত অসম্পূর্ণ। লক্ষ্মণের ভ্রাভূভক্তি কতকটা মৌন এবং ছায়ার ন্যায় অনুগামী! লক্ষ্মণ রামের প্রতি ভালবাসা কথায় জানাইবার জন্য ব্যাকুল ছিলেন না, নিতান্ত কোনরূপ অবস্থার সঙ্কটে না পড়িলে তিনি তাহার হৃদয়ের সুগভীর স্নেহের আভাস দিতে ইচ্ছক হইতেন না; বাধ্য - হইয়া দুই এক স্থলে তিনি ইঙ্গিতামাত্রে তাহার হৃদয়ের ভাব ব্যক্ত করিয়াছেন, কিন্তু তাহার অপরিসীম। রামপ্রেম মৌনভাবেই আমাদিগের নিকট সর্বত্র ব্যক্ত হইয়া পড়িয়াছে। ভরত, সীতা এবং রামচন্দ্রও মনের আবেগ সংবরণ করিতে জানিতেন না; কিন্তু লক্ষ্মণ স্নেহসম্বন্ধে সংযমী—যে স্নেহ পরিপূর্ণ, অথচ তাহা আবেগে উচ্ছসিত হইয়া উঠে নাই; এই মৌন স্নেহচিত্র আমাদিগকে সর্ব্বত্যাগী কষ্টসহিষ্ণু ভ্রাতৃভক্তির আশেষ কথা জানাইতেছে। লক্ষ্মণ আজন্ম রামচন্দ্রের ছায়ার ন্যায় অনুগামী। “ন চ তেন বিনা নিদ্রাং লভতে পুরুষোত্তমঃ। মুষ্টমন্নমুপানীতমশ্লাতিন হি তং বিনা ৷”