পাতা:Intermediate Bengali Selections.pdf/২৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Q8V व्लक्रा° তুলে, আমরা ঠিক যেন ততটা প্রত্যাশা করি না! কিন্তু লক্ষ্মণের প্রেম আমাদের নিত্য-প্রয়োজনীয় বায়ুপ্রবাহ, এই বিশাল অপরিসীম স্নেহতরঙ্গ আমাদিগকে সঞ্জীবিত রাখিয়াছে, অথচ প্রতিক্ষণে আমরা ইহা ভুলিয়া যাইতেছি। লক্ষ্মণ রামকে বলিয়া-“জল হইতে উদ্ধৃত মীনের ন্যায় আপনাকে ছাড়িয়া আমি এক মুহুর্ত্তও বঁচিতে পারিব না।” এই অসীম স্নেহের তিনি কোন মূল্য চান নাই, ইহা আপনিই আপনার পরম পরিতোষ, ইহা আপনাতেই আপনি সম্পূর্ণ, ইহা প্রত্যাশী নহে, ইহা দাতা। কখন বহুরুচ্ছ, সাধনে অবসন্ন লক্ষ্মণকে রাম একটি স্নেহের কথা - বলিয়াছেন, কিম্বা একবার আলিঙ্গন দিয়াছেন, লক্ষ্মণের নেত্রপ্রোন্তে একটি পুলকাশ্রি ফুটিয়া উঠিয়াছে; কিন্তু তিনি রামের কাছে তাহা প্রত্যাশা করিয়া অপেক্ষা করেন নাই লক্ষ্মণের চরিত্রের এক দিক মাত্র প্রদৰ্শিত হইল, কিন্তু তাহার চরিত্রের আর একটা দিক আছে। পূৰ্ববর্ত্তী বৃত্তান্ত পাঠ করিয়া কেহ কেহ মনে করিতে পারেন, লক্ষ্মণ বিশেষ তীক্ষুধীসম্পন্ন ছিলেন না। তিনি অনুগত ভ্রাতা ছিলেন সত্য, কিন্তু হয়ত রাম ভিন্ন তাহার পক্ষে নিজেকে হারাইয়া ফেলিবার আশঙ্কা ছিল। চিরদিন রামের বুদ্ধিদ্বারা পরিচালিত হইয়া আসিয়াছেন, সহসা একাকী সংসারের পথ পর্য্যটন করা তাহার পক্ষে দুরূহ হইত, এইজন্যই তিনি রামগত প্রাণ হইয়া বনগমন করিয়াছিলেন। এ কথা ত মানিবই না, বরং ভাল করিয়া আলোচনা করিলে দেখা যাইবে যে, লক্ষ্মণই রামায়ণে পুরুষকারের একমাত্র জীবন্ত চিত্র। র্তাহার বুদ্ধির সঙ্গে রামের বুদ্ধির যে সর্বদাই ঐক্য হইয়াছে, তাহা নহে, পরন্তু যে স্থানে ঐক্য না হইত, সে স্থানে