পাতা:Intermediate Bengali Selections.pdf/২৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

& 8t লক্ষমণ করিব। দেখি, কাহার সাধ্য আমার শক্তি প্রতিরোধ করে? আজ পুরুষকারের অঙ্কুশ দিয়া উদ্দাম দৈবহস্তীকে আমি স্ববশে আনিব। যাহা আপনি দৈবসংজ্ঞায় অভিহিত করিতেছেন, তাহা আপনি অনায়াসে প্রত্যাখ্যান করিতে পারেন, তবে কি নিমিত্ত তুচ্ছ অকিঞ্চিৎকর দৈবের প্রশংসা করিতেছেন?” সাশ্রনেত্র লক্ষ্মণ এই সকল উক্তির পর— “হনিষ্যে পিতরাং বুদ্ধং কৈকেয্যাসক্তমানসম।” বলিয়া ক্রুদ্ধ হইয়া উঠিলেন। রাম তখন হস্তধারণ করিয়া তাহার ক্রোধপ্রশমনের চেষ্টা পাইয়াছিলেন। এই গাঁহিত আদেশ-পালন যে ধর্ম্মসঙ্গত, ইহা তিনি কোন ক্রমেই লক্ষ্মণকে বুঝাইতে পারেন নাই। লঙ্কাকাণ্ডে মায়াসীতার মস্তক দর্শনে শোকাকুল রামচন্দ্রকে লক্ষ্মণ বলিয়াছিলেন-“হর্ষ, কাম, দৰ্প, ক্রোধ, শান্তি ও ইন্দ্রিয়নিগ্রহএই সমস্তই অর্থের আয়ত্ত। আমার এই মত, ইহাই ধর্ম্ম; কিন্তু আপনি সেই অর্থমূলক ধর্ম্ম পরিত্যাগ করিয়া সমুলে ধর্ম্মলোপ করিয়াছেন। আপনি পিতৃ-আজ্ঞা শিরোধার্য্য করিয়া বনবাসী হওয়াতেই আপনার প্রাণাধিক পত্নীকে রাক্ষসেরা অপহরণ করিয়াছে।” এই প্রখর ব্যক্তিত্বশালী যুবক শুধু স্নেহগুণেই একান্তরূপে ব্যক্তিত্বহার হইয়া পড়িয়াছিলেন। ভারতের চরিত্র রমণীজনোচিত কোমল মধুরতায় ভূষিত, উহা সাত্ত্বিক বৃত্তির উপর অধিষ্ঠিত। রামের মত বলশালী চরিত্র রামায়ণে আর নাই, কিন্তু সময় বিশেষে রাম দুর্বল ও মৃদুভাবাপন্ন হইয়া পড়িয়াছেন। রামচরিত্র বড় জটিল। কিন্তু লক্ষ্মণের চরিত্রে আদ্যন্ত পুরুষকারের মহিমা দৃষ্ট হয়। উহাতে ভরতের মত করুণ রসের স্নিগ্ধতা ও স্ত্রীলোকসুলভ খেদমুখর কোমলতা নাই। উহা