পাতা:Intermediate Bengali Selections.pdf/২৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লক্ষমণ ܗܶ8ܓ “সতত দৃঢ়, পুরুষোচিত ও বিপদে নিভীক। লক্ষ্মণ অবস্থার কোন বিপর্য্যয়েই নমিত হইয়া পড়েন নাই। বিরাট রাক্ষসের হস্তে সীতাকে নিঃসহায়ভাবে পতিত দেখিয়া রামচন্দ্র “হায়, আজ মাতা কৈকেয়ীর আশা পূর্ণ হইল”। বলিয়া অবসন্ন হইয়া পড়িলেন। লক্ষ্মণ ভ্রাতাকে তদাবস্থ দেখিয়া ক্রুদ্ধ সৰ্পের ন্যায় নিশ্বাসত্যাগ করিয়া বলিলেন, “ইন্দ্রতুল্য-পরাক্রান্ত হইয়া। আপনি কেন অনাথের ন্যায় পরিতাপ করিতেছেন? আসুন, আমরা রাক্ষসকে বধ করি।” শেলবিদ্ধ লক্ষ্মণ পুনর্জীবন লাভ করিয়া যখন দেখিতে পাইলেন, রাম তাহার শোকে অধীর হইয়া সজলচক্ষে স্ত্রীলোকের মত বিলাপ করিতেছেন, তখন তিনি সেই কাতর অবস্থাতেই রামকে এইরূপ পৌরুষহীন মোহ প্রাপ্তির জন্য তিরস্কার করিয়াছিলেন। বিরহের অবস্থায় রামের একান্ত বিহবলতা দেখিয়া তিনি ব্যথিতচিত্তে রামকে কত উপদেশ দিয়াছেন।—তাহা একদিকে যেমন সুগভীর ভালবাসাব্যঞ্জক-অপরদিকে সেইরূপ র্তাহার চরিত্রের দৃঢ়তাসূচক। “আপনি উৎসাহশূন্য হইবেন না,” “আপনার এরূপ দৌর্ব্বল্যপ্রদৰ্শন উচিত নহে,” “পুরুষকার অবলম্বন করুন” ইত্যাদিরূপ নানাবিধ স্নেহের গঞ্জনা করিয়া তিনি একদিন বলিয়াছিলেন“দেবগণের অমৃতলাভের ন্যায় বহু তপস্যা ও কৃচ্ছসাধন করিয়া মহারাজ দশরথ আপনাকে লাভ করিয়াছিলেন, সে সকল কথা আমি ভারতের মুখে শুনিয়াছি-আপনি তপস্যার ফলস্বরূপ। যদি বিপদে পড়িয়া আপনার ন্যায় ধর্ম্মাত্মা সহ্য করিতে না পারেন, তবে অল্পসত্ত্ব ইতর ব্যক্তিরা কিরূপে করিবে?” রামের প্রতি জ্ঞাতসারে হউক বা অজ্ঞাতসারে হউক, যে কেহ অন্যায় করিয়াছে, লক্ষ্মণ তাহা ক্ষমা করেন নাই, এ কথা পূর্বেই