পাতা:Intermediate Bengali Selections.pdf/২৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

RGO व्लक्रा° বলিয়াছি। দশরথের গুণরাশি তাহার সমস্তই বিদিত ছিল, ক্রোধের উত্তেজনায় তিনি যাহাঁই বলুন না কেন, দশরথ যে পুত্রশোকে প্রাণত্যাগ করিবেন, এ কথাও তিনি পূর্বেই অনুমান করিয়াছিলেন, তথাপি তিনি দশরথকে মনে মনে ক্ষমা করেন নাই। সুমন্ত্র বিদায়কালে যখন লক্ষ্মণকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “কুমার, পিতৃসকাশে আপনার কিছু বক্তব্য আছে কি?” তখন লক্ষ্মণ, বলিলেন, “রাজাকে বলিও, রামকে তিনি কেন বনে পাঠাইলেন, নিরপরাধ জ্যেষ্ঠপুত্রকে কেন পরিত্যাগ করিলেন, তাহা আমি বহু চিন্তা করিয়াও বুঝিতে পারি নাই। আমি মহারাজের চরিত্রে পিতৃত্বের কোন নিদর্শন দেখিতে পাইতেছি না। আমার ভ্রাতা, বন্ধু, ভর্তা ও পিতা সকলই রামচন্দ্র।” “অহং তাবন্মহারাজে। পিতৃত্বং নোপলক্ষয়ে। ভ্রাত ভর্ত্তা চ বন্ধুশ্চে পিতা চ মম রাঘবঃ ৷” ভারতের প্রতি র্তাহার গভীর সন্দেহ ছিল। কৈকেয়ীর পুত্র ভরত যে মাতার ভাবে অনুপ্রাণিত হইবেন, এ সম্বন্ধে তাহার অটল ধারণা ছিল, কেবল রামের ভৎসঁনার ভয়ে তিনি ভারতের প্রতি কঠোরবাক্যপ্রয়োগে নিবৃত্ত থাকিতেন। কিন্তু যখন জটাবদ্ধকেশকলাপ অনশনকৃশ ভরত রামের চরণপ্রান্তে পড়িয়া ধূলিলুষ্ঠিত। হইলেন, তখন লক্ষ্মণ র্তাহাকে চিনিতে পারিয়া সলজ স্নেহপরিতাপে ত্রিয়মাণ হইলেন। একদিন শীতকালের রাত্রে বড় তুষারপড়িতেছিল, শীতাধিক্যে পক্ষিগণ কুলায়ে গুষ্ঠিত হইয়াছিল, ভারতের জন্য সেই সময় লক্ষ্মণের প্রাণ কাদিয়া উঠিল, তিনি রামকে বলিলেন,-“এই তীব্র শীত সহ্য করিয়া ধর্ম্মাত্মা ভরত আপনার ভক্তির তপস্যা পালন করিতেছেন। রাজ্য, ভোগ, মান, বিলাস