পাতা:Intermediate Bengali Selections.pdf/২৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

मथUझ्-जीऊ SRV). স্নিগ্ধ শুমলাঙ্গ-পরিশোভিনী রক্ত-রেখা না থাকিলে কি কবিতা হয় না? সঙ্গীত ফোটে না? দিবসের শ্রান্তির অবসানে বিশ্ব যদি অন্ধকারের গর্ভে একবার না ডুবিয়া যায়, যদি চন্দ্রালোক, অলস হৃদয়ে, ক্লান্তিপূর্ণ সুষুপ্ত বিশ্বের মুখচুম্বন না করে, তবে কি, কণ্ঠস্বর একটু ঘুরিয়া পেচিয়া, একটু অষ্টবক্র হইয়া, পো পো খেন-খেন। সমভিব্যাহারে, শ্রোতার শ্রবণ-বিবর তাড়না করিতে পারে না? আর সমিল বা অমিল চতুর্দশটি অক্ষর-সম্বলিত পদ বিলন্বিত হয়। না? মধ্যাহের কি সঙ্গীত নাই? শুনিয়াছি প্রাচীনের কোন কোন রাগিণীকে মধ্যাহ্নে স্থান দিয়াছিলেন, কিন্তু একালের সুরসিকেরা, আর বিশেষ ভাবে আমার বন্ধু, তাহাদিগকে অগ্রাহ করিয়াছেন। কে সুরসিক, কে অরসিক, বুঝিতে পারিলাম না। যাহারা বৈশাখের রৌদ্রে, দরজা জানালা বন্ধ, করিয়া পাখার বাতাস সেবন করিতে করিতে, কর্ম্মময় পৃথিবীর বক্ষে নিস্তব্ধ হইয়া, একমাত্র - নাসিকাটি সচেতন রাখেন, তাহারাই সুরসিক? না, যাহারা মধ্যাহ্নের প্রস্ফুটরাপে পূর্ণ যৌবনের শোভা সন্দর্শন করেন, রৌদ্রের অগ্নিময় তাপে প্রপীড়িত, পরিশ্রান্ত, ভূষিত স্বৰ্গ-মর্ত্যে বিশ্ব প্রাণের রুদ্রমূর্ত্তি দেখিতে পান, আর কোলাহলময়, অবিরত কর্ম্মনিরত, স্বেদসিক্ত মনুষ্যলোকে জীবন-গৌরবের উৎসাহময় সঙ্গীত, সাকার সচল ও স্পর্শক্ষম দেখিতে পান, তাহারা সুরসিক? বড় রাগ হইল; একখানি বেত পড়িয়াছিল, অন্যমনে সেখানি হাতে তুলিয়া গৃহমধ্যে পাদচারণ করিতে লাগিলাম। বেত্র যে বন্ধুপুষ্ঠে পড়িয়া, করুণ-রসাত্মক সঙ্গীত উদিগরণ করিবে, তাহার কোন সম্ভাবনা ছিল না। তবে ঘরের ইটি-সেটি, টেবিলখানি,