পাতা:Intermediate Bengali Selections.pdf/৩০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

RbVe অশ্রািজল -যখন আত্মহারা দীর্ঘনিশ্বাস শিহরিয়া উঠিয়া মিলাইয়া যায়, তখন সেও তা সেই হৃদয়ের ভাষা; আসন্ন নির্বাণের বিবর্ণ অধরে যখন ক্ষীণ দীপশিখার মত একটী স্নান অস্ফুট রাজত-সৌন্দর্য্য বিকশিয়া উঠে, তখন সেও ত সেই অবসন্ন হৃদয়ের নীরব ভাষা। তাই বলিয়া এসব ভাষাই ত আর সম্পূর্ণ এক নহে-ভাবের সাদৃশ্য থাকিতে পারে মাত্র, কিন্তু একভাব হওয়ার সম্ভাবনা বিরল। অশ্রুজিলের মর্ম্মের ভাব দীর্ঘনিশ্বাসের সহিত এক নয়।—বেশ একটু তফাৎ আছে। নয়নে অশ্রু বহে। কখন? অভিমান, অনুতাপ, হৃদয়ের সুগভীর বেদনাতেই ত অশ্রুজিলের উচ্ছাস। আনন্দেও অশ্রু ঝরে। সুখের শুধু অশ্রু নাই। দীর্ঘনিশ্বাসও হৃদয়ের বেদনা-উচ্ছাস। কিন্তু দুয়ের মধ্যে ভাবের তারতম্য কি? দীর্ঘনিশ্বাসে আতুপ্তির ভাব কিছু বিশেষরূপে অভিব্যক্ত, অশ্রুজিলে শাস্তির ভাব। হৃদয় যখন ব্যথিত হইয়া আপনার মধ্যে মিলাইয়া থাকিতে চায়, এক একা আপনার মধ্যে যখন সে অজ্ঞাতবাস করে, তখন তাহার গ্রন্থিতে গ্রন্থিতে দীর্ঘনিশ্বাস হাহাকার করিয়া মরে। দীর্ঘনিশ্বাসে হৃদয়ের ভয়ানক অন্তর্দাহ হয়, হৃদয় জ্বলিয়া পুড়িয়া খাক হইয়া যায়। অশ্রািজলে এ দাবানলভাব নাই, হৃদয় যেন গলিয়া গিয়া অশ্রীরূপে ঝরিয়া যায়; বেদনার অনেকটা উপশম হয়। দীর্ঘনিশ্বাসে অশ্রািজলের এ তৃপ্তি কোথায়? হৃদয় গুমরিয়া গুমরিয়া প্রতিদিন অবসন্ন হইয়া আসে, প্রাণে যে শেল বিঁধিয়া থাকে, তাহার জ্বালা আরও বৃদ্ধি পায়, কিন্তু সে শেল ঘুচে না। এই দীর্ঘনিশ্বাস যখন বুকে আসিয়া আটুকাইয়া যায়, সহসা আসিতে আসিতে আর আসিতে পারে না, তখন লোকে উন্মাদ-হাসি LD D S S BBB BB BBD YYS DDB DBDDDYTDBDs