পাতা:Intermediate Bengali Selections.pdf/৪০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অহল্যার উত্রীতি জীবনে যৌবনে,-সেই গুঢ় মাতৃকক্ষে সুপ্ত ছিলে এত কাল ধরণীর বক্ষে, চিররাত্রিসুশীতল বিস্মৃতি-আলয়ে; যেথায় অনন্তকাল ঘুমায় নির্ভয়ে লক্ষ জীবনের ক্লাস্তি ধূলির শয্যায়; নিমেষে নিমেষে যেথা ঝরে’ পড়ে যায় দিবসের তাপে শুষ্ক ফুল, দগ্ধ তারা, জীর্ণ কীর্ত্তি, শ্রান্ত সুখ, দুঃখ দাহহারা। সেথা সুিগ্ধ হস্ত দিয়ে পাপতাপরেখা মুছিয়া দিয়াছে মাতা; দিলে আজি দেখা ধরিত্রীর সদ্যোজাত কুমারীর মত সুন্দর সরল শুভ্র; হ’য়ে বাক্যহত চেয়ে আছা প্রভাতের জগতের পানে; যে শিশির পড়ে ছিল তোমার পাষাণে রাত্রিবেলা, এখন সে কঁাপিছে উল্লাসে আজানুচুম্বিত মুক্ত কৃষ্ণ কেশপাশে। যে শৈবাল রেখেছিল ঢাকিয়া তোমায় ধরণীর শুঠাম শোভা অঞ্চলের প্রায় বহু বর্ষ হ’তে-পেয়ে বহু বর্ষাধারা সতেজ, সরস, ঘন-এখনো তাহারা লগ্ন হয়ে আছে তব নগ্ন গৌর দেহে মাতৃদত্ত বস্ত্রখানি সুকোমল স্নেহে। শ্রী:রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।