পাতা:Intermediate Bengali Selections.pdf/৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩২। সুশিক্ষিত ও অশিক্ষিত লোকের সুখের তারতম্য সুশিক্ষিত ব্যক্তি এক এক জলবিন্দুতে কোটি কোটি জীবের - অবস্থান ও সঞ্চরণ দেখিয়া পুলকিত হইতে থাকেন। অনভিজ্ঞ ব্যক্তির যে স্থানে কিঞ্চিৎ কলঙ্ক-যুক্ত চিহ্নমাত্র বোধ হয়, তিনি সে স্থানে বৃহৎ অরণ্য দর্শন করেন। ইতর ব্যক্তিরা প্রজাপতির পক্ষ-সমূহে যে সমস্ত ক্ষুদ্ররেণু দৃষ্টি করে, তিনি তাহ বিহঙ্গগণের পক্ষ-সদৃশ সুরাগ-রঞ্জিত, সুচারু পক্ষ-সমূহ জানিয়া, অত্যন্ত আহলাদিত হইয়া থাকেন। অনভিজ্ঞ ব্যক্তি রাজ্য-বিশেষের রাজধানী-বিশেষ যেরূপ জনাকীর্ণ বােধ করে, তিনি কণা-প্রমাণ স্থান তদপেক্ষা অধিকসংখ্যক জীবে পরিপূর্ণ দেখিয়া বিস্ময়াপন্ন হন। অশিক্ষিত ব্যক্তি যে স্থান জীব-শূন্য অকর্ম্মণ্য বোধ করে, তিনি সে স্থান জ্ঞান ও ক্রীড়া, রাগ ও বাসনা, সুখ ও সন্তোষের আধার বলিয়া প্রতীতি করেন এবং প্রত্যেক অণু-প্রমাণ স্থান পরমেশ্বরের অত্যাশ্চর্য্য অনির্বচনীয় অভাবনীয় কীর্ত্তিতে পরিপূরিত দেখিয়া, ভক্তি-সহকৃত ‘ পরমানন্দ-রসে অভিষিক্ত হইতে থাকেন। যে মহাত্মার অন্তঃকরণ এতাদৃশ অতি মনোহর সুখরাজ্যে বিচরণ করিতে পারে, তাহার অনুভূত সুখ অজ্ঞানাবৃত অশিক্ষিত ব্যক্তির সুখাপেক্ষায় অশেষ গুণে উৎকৃষ্ট, তাহার সন্দেহ নাই। যদি মাজ্জিত-বুদ্ধি-পরিচালনে সুখোদয় হয়, যদি ক্ষুদ্র ও বৃহৎ এবং সুন্দর ও মহৎ অশেষবিধ পদার্থ-চিন্তানে সুখ-সঞ্চার হয় এবং যদি মহিমার্ণব পরমেশ্বরের অচিন্ত্য শক্তির ও অপার মহিমার অসংখ্য নিদৰ্শন-দর্শনে প্রগাঢ় সুখের উদ্ভব হয়, তবে জ্ঞানালোক-সম্পন্ন বিশুদ্ধচিত্ত সুশিক্ষিত ব্যক্তির পরমোৎকৃষ্ট নিরুপম সুখের উপমা দিবার আর স্থল নাই, এ কথা অবশ্য স্বীকার করিতে হইবে। অক্ষয়কুমার দত্ত 1,