পাতা:Intermediate Bengali Selections.pdf/৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জাতীয় ভাব-ইহার উপাদান 8 আপনাদিগকে সুস্পষ্টরূপেই জানিতেছি। এক্ষণে আমাদের সাধারণ সুখ, দুঃখ, আশা, ভরসা, আকাজক্ষা এবং নৈরাশ্য, একসুত্রে সম্বন্ধ হইয়া উঠিয়াছে। পূর্বে পূর্বে এতদূর না হউক, কখন কখন ভারতবর্ষের অতি সুবিস্তৃত ভূমিভাগ সকল একচ্ছত্রের অধীন হইত-মান্ধাতা, শ্রীরামচন্দ্র, যযাতি, যুধিষ্ঠির, বিক্রমাদিত্য, অশোক প্রভৃতি আর্য্য নরপালগণ সাম্রাজ্য সংস্থাপন করিয়াছিলেন—আর আকবর সাহ প্রভৃতি কয়েকজন মুসলমান সম্রাটও: ভারতভূমির অনেকানেক প্রদেশ আপনাদিগের করতলস্থ করিয়া রাখিয়াছিলেন। তাহাদিগের সেই সকল সাম্রাজ্য স্থাপনের ফলে ভারতবর্ষের বিভিন্ন ভাগের পরস্পর সম্মিলনোপায় অনেক দূর সুসিদ্ধ হইয়াছিল। তাহার উপর এক্ষণে যে অচ্ছেদ্য, অভেদ্য আয়াসগৃঙ্খলে ভারতবর্ষের সমস্ত প্রদেশ দৃঢ়সম্বদ্ধ হইল* ইহার ফল আরও অনেক অধিক হইবে এবং সত্বরেই ফলিবে। সামাজিক রীতি নীতি, আচার প্রণালীর ন্যায়, ভারতবর্ষের সর্ব্বত্রই যে সমপ্রকৃতিক তাহা অপর জাতিদিগের রীতি পদ্ধতির সহিত তুলনা করিলেই স্পষ্টরূপে প্রতীত হয়। অপর জাতিদিগের সহিত আমাদের সকলেরই পার্থক্য যত অধিক-নিজেদের মধ্যে পৃথক ভাব তত নয়। ভারতবর্ষের যেখানেই যাইবে, সর্বত্রই ঘর দ্বারের শ্রীছাদ, খাওয়া দাওয়ার পারিপাট্য, ক্রিয়া কলাপের রীতি পদ্ধতি মোটামুটি একই প্রকার দেখিতে পাইবে। অতি সুবোধ এবং বহুদশী কোন ইউরোপীয়ের সহিত ১৮৬৩ অব্দে, এই সকল বিষয়ে, আমার কথা হইয়াছিল। তিনি বলিয়াছিলেন-“ভারতবর্ষীয়দিগের মধ্যে পরস্পর যেরূপ পৃথক ভাব আছে, তাহা কোন বৃহৎ সাম্রাজ্যে নাই?-রুসিয়ার