পাতা:Intermediate Bengali Selections.pdf/৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চন্দ্রাপীড়ের দেহত্যাগ ميوه বলিয়া শাপ দিলেন, “রে দুরাত্মন! যেহেতু তুই কর দ্বারা সন্তাপিত করিয়া বল্লভার প্রতি সাতিশয় অনুরক্ত এই ব্যক্তির প্রাণ বিনাশ করিলি, এই অপরাধে তোকে ভূতলে বারংবার জন্ম গ্রহণ করিতে হইৰেক এবং আমার ন্যায় অনুরাগ পরবশ হইয়া প্রিয়বিয়োগে দুঃসহ যন্ত্রণা অনুভব করিতে হইবেক।” বিনাপরাধে শাপ দেওয়াতে আমি ক্রোধান্ধ হইলাম, এবং বৈরানির্য্যাতনের নিমিত্ত এই বলিয়া প্রতিশাপ প্রদান করিলাম, “রে মুঢ়! তুই এবার যেরূপ যাতনা ভোগ করিলি, বারংবার তোকে এইরূপ যাতনা ভোগ করিতে হইবেক।” ক্রোধ শান্তি হইলে ধ্যান করিয়া দেখিলাম, আমার কিরণ হইতে অপসরাদিগের যে কুল উৎপন্ন হয়, সেই কুলে গৌরীনামী গন্ধর্ব্বকুমারী জন্ম গ্রহণ করেন, তাহার দুহিতা মহাশ্বেতা এই মুনিকুমারকে পতিরূপে বরণ করিয়াছে। তখন সাতিশয় অনুতাপ হইল। কিন্তু শাপ দিয়াছি, আর উপায় কি? এক্ষণে উভয়ের পাপে উভয়কেই মর্ত্ত্যলোকে দুই বার জন্মগ্রহণ করিতে হইবেক, সন্দেহ নাই। যাবৎ শাপের অবসান না হয়, তাবৎ তোমার বন্ধুর মৃত দেহ এই স্থানে থাকিবেক। আমার সুধাময় করম্পর্শে ইহা বিকৃত হইবেক না। শাপাবসানে এই শরীরেই পুনর্বার প্রাণসঞ্চার হইবেক, এই নিমিত্ত ইহা এখানে আনিয়াছি। মহাশ্বেতাকেও আশ্বাস প্রদান করিয়া আসিয়াছি। তুমি এক্ষণে মহর্ষি শ্বেতকেতুর নিকটে গিয়া এই সকল বৃত্তান্ত বিশেষ করিয়া তাহার সমক্ষে বর্ণন কর। তিনি মহাপ্রভাব, অবশ্য কোন প্রতিকার করিতে পরিবেন। চন্দ্রমার আদেশানুসারে আমি দেবমাৰ্গ দিয়া শ্বেতকেতুর নিকট যাইতেছিলাম। পথিমধ্যে অতি কোপনস্বভাৰ এক