প্রাচ্য দৃশ্যাবলী।
First Series
নং. ১
দিল্লির জুম্মা মসজিদের পূর্ব তোরণ।
জুম্মা মসজিদের এই তোরণ সহ মসজিদ, যা মুসলমানদের একটি প্রধান উপাসনাস্থল, সম্রাট শাহ জাহান দ্বারা ১৬৫০ খ্রিস্টাব্দে নির্মিত হয়েছিল। এর উপাদান পার্শ্ববর্তী মেওয়াত পাহাড় থেকে আনা লাল পাথর ও কাশ্মীরি শ্বেতপাথর। ছোট গম্বুজগুলির ওপরের চূড়াটি সোনার জল দেওয়া। ভাঁজ করা দরজাগুলি পেতলের তৈরি, সামান্য উঁচু সুষম নকশা করা সুন্দর কারুকার্যময়। পুরো কাজটি অসাধারণ কারিগরি দক্ষতার নিদর্শন।
চিত্রে কেল্লাদার বা দুর্গ রক্ষক ও তাঁর সাধারণ পরিচারকদের দেখা যাচ্ছে।
দিল্লি, যা মুঘল সম্রাটের বাসস্থান, কলকাতা হতে নয়শো ছিয়াত্তর মাইল উত্তর-পশ্চিমে, ২৮° ৪০′ উত্তর অক্ষাংশ, ৭৭° ৪০′ দ্রাঘিমাংশে অবস্থিত।
নং. ২
যমুনা নদীর তীরে বৃন্দাবনের হিন্দু মন্দির।
এই অট্টালিকাগুলি প্রাচীন হিন্দু স্থাপত্য শৈলীর প্রস্তরনির্মিত: যার মধ্যে একটির এখনো চলনসই সংরক্ষণ অবস্থায় রয়েছে; অত্যন্ত যত্নসহকারে এটি নির্মাণ করা হয়েছে বলে মনে হয়, এবং কারুকার্যময় অংশগুলি খুব সুন্দর রুচির সাহায্যে তৈরি। সর্বনিম্ন তলে শিবের মুর্তি রয়েছে, যাকে এই মন্দিরটি উৎসর্গ করা হয়েছে।
কোন সময়কালে এগুলি নির্মিত হয়েছিল তা জানা যায় না: প্রকৃতপক্ষে, একদম আধুনিক নয় এমন যে কোন হিন্দু অট্টালিকাগুলির সময়কাল নির্ধারণ করা অত্যন্ত কঠিন, এবং কোনরকম বিশ্বাসযোগ্য তথ্য সংগ্রহ করার সুযোগ খুব সামান্যই ঘটে।
মূলত হিন্দু অধ্যুষিত বৃন্দাবন দিল্লির সত্তর মাইল দক্ষিণে অবস্থিত, একটি বিশাল, ঘনজনবসতিপূর্ণ, ও অত্যন্ত প্রাচীন শহর।
নং. ৩
যমুনা নদীর তীরে দিল্লির কুদসিয়া বাগ।
কুদসিয়া বাগ, যা বাগ বা বাগান থেকে বলা হয়, দুশো বছর পূর্বে সম্রাট আকবরের রাজত্বকালের সময়কালীন কুদসিয়া বেগম নাম্নী এক মুসলমান নারী দ্বারা নির্মিত চতুষ্কোণ অট্টালিকার মধ্যে অবস্থিত। এটি প্রস্তরনির্মিত এবং কিছু অংশ অত্যন্ত টেকসই চুনের আস্তরণ দ্বারা আচ্ছাদিত। কোণগুলির অষ্টকৌণিক অভিক্ষেপ ব্যতীত ঘরগুলিতে মূলতঃ বাগানের দিক থেকে আলো আসে। মসৃণ ধাপযুক্ত ছাদ থেকে দিল্লি শহর ও যমুনা নদীর সুন্দর দৃশ্য দেখা যায়। ফুলের বিছানা ও ফোয়ারা দ্বারা পরিকীর্ণ বাগানের মধ্য দিয়ে মসৃণ পাথর দিয়ে বাঁধানো সোজা হাঁটা-রাস্তা চলে গেছে। দক্ষিণ দিকের বাইরের দেওয়াল সংলগ্ন স্থানে মসজিদ ও উত্তর দিকে কুদসিয়া বাগের বিশাল প্রবেশদ্বার রয়েছে।