পাতা:Reminiscences Speeches And Writings Of Sir Gooroo Dass Banerjee Reminiscences pt. 1.pdf/২৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

278 জীবনের শেষ কয়েক দিবসের কথা। এক দিবস প্রাতে দেখা হইলে যাতনা ব্যঞ্জক মুখে বলিলেন “আমি দেহের স্থান বিশেষে হাজিয়া যাইবার কারণ তীব্র জ্বালা অনুভব করিতেছি, কিছুতেই আপনার উপদেশে স্থিতিলাভ করিতে পারিতেছি না।” সেই সময়ে ডাক্তার সুরেশ প্রসাদ সর্বাধিকারী মহাশয় উপস্থিত ছিলেন। তঁহাকে বলিলাম-ডাক্তারবাবু আপনাদের ত বহু প্রকার স্নিগ্ধকারী প্রলেপ আছে তাহাই একটা স্থানে লাগাইয়া দি উন্ন না কেন, এখনই যাতনা উপশমিত হইতে পারে। তিনি উত্তরে বলিলেন—এখনই জালা নিবারণ হইতে পারে এমন ঔষধি আছে, কিন্তু রোগী ত ব্যবহার করিতে চাহেন না। বলেন আমার দেহত্যাগের সময় কোনরূপ অপবিত্র বস্তু স্পর্শ করিতে ইচ্ছা নাই। আমরা নাড়ী দেখিবার জন্য নিযুক্ত আছি মাত্র। কেবল তৃষ্ণ নিবারণ জন্য মধ্যে মধ্যে একটু করিয়া গঙ্গাজল পান করিতেছেন। আমি বলিলাম—মহাশয় আপনারাত মানবদেহ ব্যবচ্ছেদ করিয়া দেখিয়াছেন—এই রক্ত, মাংস, মেদ, মজ্জা অস্থি সংঘাত দেহের কোন স্থানটা পবিত্র যে বাহিরের কোন প্রলেপে দেহটা অশুদ্ধ হইবে? আমার বাক্য লক্ষ্য করিয়া আমনি মহাপুরুষ বলিলেন—“যখন আপনার ইচ্ছা হইয়াছে তখন স্থানীয় প্রলেপে আমার কোন আপত্তি নাই।” আমনি ডাক্তার বাবু প্রলেপ আনিবার জন্য শীঘ্র গতিতে গৃহের বাহিরে গমন করিলেন। ক্রমশঃই যাতনায় অস্থির হইতেছেন দেখিয়া বলিলাম—বেদনার স্থান হইতে মনটাকে আকর্ষণ করিয়া সেই মহামহিম দেবের নিরাময় চরণ কমলে নীত করুন না। একবার শ্রীকৃষ্ণের বৃন্দাবন লীলাটা স্মরণ করিয়া সেই গৃঢ় কপট মনুষ্যের চরণ সরোজের মধুপানে প্রবৃত্ত হউন। দেখিবেন সেই অমৃতের মাদকতা শক্তিতে আপনার বাহ্য জ্ঞান বিলুপ্ত প্রায় হইবে, আর যাতনা থাকিবে না। আপনি বিন্দু