পাতা:Reminiscences Speeches And Writings Of Sir Gooroo Dass Banerjee Reminiscences pt. 1.pdf/৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ʻ V জীবন স্মৃতি। চিঠি দুই খানি দেখিয়া রাজীবলোচন মনে করিয়াছিলেন, বে। প্রথম খানি তিনি প্রাণ খুলিয়া লিখিয়াছেন, দ্বিতীয় খানি উপরোধে লিপিবদ্ধ। এই হিসাব করিয়া তিনি প্রথম অর্থাৎ সামান্য পণ্ডিতকে শালের জোড়া ও দশ টাকা, এবং দ্বিতীয় অর্থাৎ খ্যাতনামা পণ্ডিতকে জামেয়ার ও পাঁচ টাকা দিয়াছিলেন। বিদায় দেখিয়া সার গুরুদাস ও মাতিবাবু উভয়েই বুঝিলেন যে পাণ্ডিত্য হিসাবে ঠিক উল্টা দান হইয়াছে। অনুসন্ধান করিয়া মতিবাবু জ্ঞাত হইলেন যে, দ্বিতীয় পণ্ডিত তাড়াতাড়িতে রাজীবলোচনের নিকট বলিয়া ফেলিয়াছিলেন যে তিনি “হাইকোর্টের” উকিল “গুরুচরণ” বাবুর নিকট হইতে আসিয়াছেন। মাতিবাবু গিয়া দেওয়ানকে সমস্ত ব্যাপার বুঝাইয়া বলিলে, উক্ত পণ্ডিত শালের জোড়া ও দশ টাকা প্রাপ্ত হইয়াছিলেন। রাজীবলোচনা এক জন ব্রাহ্মণকে কদাচারী বলিয়া জানিতেন। কাশীমবাজার রাজবাটীতে পূজানুষ্ঠান উপলক্ষে, রাজীবলোচন উক্ত ব্রাহ্মণকে দুই দিন পূর্বে বলেন, “কল্য সংযম করিয়া থাকিবেন।” ব্রাহ্মণ দন্তরুিচি প্রকাশ করিয়া বলিলেন, “আজ্ঞা আমরা ত” প্রত্যহই ংযম করিয়া থাকি।” রাজীবলোচন বিরক্ত হইয়া তাহাকে ভৎসনা করিলেন না, কেবল দৃঢ়ভাবে বলিলেন “কাল নিশ্চয় সংযম করিবেন।” গতিক মন্দ বুঝিয়া ব্রাহ্মণ বলিলেন, “যে আজ্ঞা।” ১৮৬৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে, সার গুরুদাস প্রেমচান্দ রায়চাদ পরীক্ষা দিবার জন্য দুই সপ্তাহের ছুটি লইয়া কলিকাতায় আসেন। তাহার পরীক্ষার বিষয় ছিল পাঁচটি—অমিশ্র গণিত, মিশ্র গণিত, ইংরাজী সাহিত্য, পদার্থবিদ্যা ও দর্শন। স্বৰ্গীয় কালীচরণ বন্দ্যো পাধ্যায় ও স্বগীয় আশুতোষ মুখোপাধ্যায়। এই বৎসর উক্ত পরীক্ষা