পাতা:Vanga Sahitya Parichaya Part 1.djvu/১০৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভাগবত—রাধাকঞ্চ দাস–১৯শ শতাব্দী।
৯৫১

ধনেশে করেছ ধনী ধন বিতরিয়া।
ধন্য কর এ দাসীরে কৃষ্ণধন দিয়া॥
নিত্যময়ী নিরঞ্জনী নির্ব্বাণদায়িকা।
নারায়ণে পতি দে মা নগেন্দ্র-বালিকা॥
পশুপতি পবিত্র পাইয়া তব পদ।
পীতাম্বরে পতি দিয়া ঘুচাও বিপদ॥
ফুৎকারে ব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টি ফুৎকারেতে লয়।
ফাঁপরে পড়েছি দে মা কৃষ্ণ-পদাশ্রয়॥
বিশ্ব-আদ্যা কালী তুমি বেদে শুন্তে পাই।
বংশীধর হয় বর এই বর চাই॥
ভবদারা ভয়হরা ভূধর-অঙ্গনা।
ভগবানে পতি দিয়া ঘুচাও ভাবনা॥
মহামায়া মহেশ্বরী মহিষ-মর্দ্দিনী।
মাধবে মিলায়ে দে মা মহেশ-মোহিনী॥
যশোদা-কুমারী যোগমায়া যোগেশ্বরী।
যদুনাথে পতি দে মা মনোদুঃখে তরি॥
রুদ্রাণী রূধির-ধারা বহে কলেবরে।
রমানাথে পতি দিয়া রক্ষা কর মোরে॥
লোলোলোলো করে জিহ্বা লম্বিত চিকুর।
লক্ষ্মীকান্তে পতি দে মা দুঃখ যাকু দূর॥
বগলা বরদা বামা বিভু-বিশ্বেশ্বরী।
বৈকুণ্ঠনাথেরে মোরে দে মা কৃপা করি॥
শক্তিরূপা শ্যামা তুমি এ তিন সংসারে।
সুস্থ কর শ্যামচাঁদে সঁপিয়া আমারে॥
হংসরূপা হংসেশ্বরী হেমন্ত-নন্দিনী।
হরি দিয়া হর দুঃখ হরবিলাসিনী॥
ক্ষেমঙ্করী তব পদে এই অভিলাষ।
ক্ষীরোদশায়ী কৃষ্ণে পাই পূর্ণ কর আশ॥

রুক্মিণী-হরণ।

হর-সীমন্তিনী পূজিয়া রুক্মিণী
স্তব করি ভক্তিরূপে।
সহচরী সঙ্গে চলিলেন রঙ্গে
মজিতে ত্রিভঙ্গরূপে॥