পাতা:Vanga Sahitya Parichaya Part 1.djvu/১০৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভাগবত—রাধাকৃষ্ণ দাস–১৯শ শতাব্দী।
৯৫৯

উভয়ের পাদ-পদ্ম জ্ঞান করি স্থলপদ্ম
মধু-লোভে ধায় মধুকর॥
রাধাকৃষ্ণ-রাঙ্গা-পায় বিক্রীত করিয়া কায়
মনে ভাবি যুগল-চরণ।
সেই রাধাকৃষ্ণ দাস এই দ্বারিকা-বিলাস
পদ্য-ছন্দে করিল রচন॥

বৈশম্পায়ন জন্মেজয়ের প্রতি কহিতেছেন—শুন মহারাজ শ্রীহরি অষ্টাদশ সহস্র একশত অষ্ট মহিষী লইয়া সুখান্তরে দ্বারকা নগরে সকৌতুকে পরম সুখে স্বচ্ছন্দ পূর্ব্বক বিহার করেন। প্রত্যেক মহিষীর গর্ভে শ্রীহরির দশ পুত্ত্র দশ কন্যা হয়। প্রধান মহিষী রুক্মিণীর সন্তান প্রদ্যুম্ন প্রভৃতি এবং জাম্বুবতীর সন্তান জাম্বু প্রভৃতি সত্যভামার সন্তান সারণ প্রভৃতি ইত্যাদি শ্রীহরির সন্তানদিগের নাম এবং শ্রীহরির কুমারদিগের এক এক ব্যক্তির ঐরূপ দশ দশ পুত্ত্র ও দশ দশ কন্যা হয়। এমত প্রকারে শ্রীহরির ছাপ্পান্ন কোটি পুত্ত্র পৌত্ত্রে পৃথিবী পরিপূর্ণ হইল, তাহারা মহাবল পরাক্রান্ত দোর্দ্দণ্ড প্রতাপাম্বিত হইয়া দ্বারকায় কালযাপন করেন। শ্রীহরির বংশবৃদ্ধি প্রসঙ্গ যে ব্যক্তি একান্ত চিত্তে শ্রবণ করে সে ব্যক্তি নিঃসন্তান থাকিলে সন্তান প্রাপ্ত হয়েন॥