পাতা:Vanga Sahitya Parichaya Part 1.djvu/১৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬২ বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয়। ক্ষুর তুলিয়া এক শত দিল রাজার কেশ মৃত্তিকায় পড়িল। কেশী গঙ্গা হইয়া বহিবার লাগিল॥ সিদ্ধগণ ও দেবগণের তুদ্ব তুড় করিয়া ময়ন হুঙ্কার ছাড়িল। আগমন। ষোল শত মুনি হুঙ্কারত নামিল। পুষ্পরথে নামিল গোরক বিদ্যাধর। ঢেকি বাহনে নামিল নারদ মুনিবর। বাসোয়ার পীঠিত নামিয়া গেল ভূলা মহেশ্বর। ধনুক বাণে নামিয়া গেল শ্রীরাম লক্ষ্মণ॥ পাচ ভাই পাণ্ডা নামিল ঠাই ঠাই। কাণকাট (১) হাড়ি সিদ্ধা লেখা যোথা নাই॥ সন্ন্যাস-গ্রহণ। ঘসির ধূলা (২) দিয়া বদন ডাকিল। সম্রাট দেখিয়া ময়না কান্দিবার লাগিল ৷ মায়র দুই নয়নর তারা রে। আরে ও বাছা! আমার কেবা লইল রে॥ নাপিতর হস্তর ক্ষুর লইল কাড়িয়া। ঐ ক্ষুর কাণ-ফাড়ার (৩) হস্তে দিল তুলিয়া। যেন মতে কাণ-ফাড় ক্ষুর হস্তে পাইল। রাম রাম বলিয়া রাজার দুই কর্ণ ফাড়িল ৷ ফাটিকর কুণ্ডল রাজাক পরাইল। (৪) ভগবান বস্ত্র আনিয়া যোগাইল৷ পাচ বৈষ্ণব ধরিয়া কেীপীন পরাইবার লাগিল। এ ডোর কোপীন রাজাক পরাইল। রাম থিলিক গলে তুলি দিল। কদুর (৫) থাল হস্তত তুলি দিল। ভাঙ্গা কন্থা ভাঙ্গ কৌপীন ভাঙ্গ বহির্ব্বাস। সবে মেলিয়া দ্বারত আছে চৈতন্তর দাস॥ (১) সন্ন্যাসীদের কর্ণচ্ছেদ করার নিয়ম থাকায় নাপিতের এক শ্রেণীকে ‘কণিকাটা’ বলা হইত। (২) ঘুটের ছাই। (৩) কাণ-ফাড় = যে ব্যক্তি কর্ণচ্ছেদ করে। (৪) কুণ্ডল পরিয়া যোগী বা যোগিনী হওয়ার কথা অনেক প্রাচীন বঙ্গীয় কাব্যেই পাওয়া যায়।, (৫) লাউএর, বাউর।