পাতা:Vanga Sahitya Parichaya Part 1.djvu/১৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৌদ্ধযুগ – মাণিকচন্দ্র TFR R–• ** শতাব্দী। 위 ধ্যানত ময়না বুড়ী ধ্যান করি চায়। ময়নামতীর উদ্যোগ। চোঁদ তাল জলর ভিতর হাড়ির লাগাল পায়॥ স্বরূপ জ্ঞান মাইলে তুলিয়া। চাক ভায় হাড়ি সিদ্ধার ফেলাইল কাটিয়া। (১) সরদি সাগর দিয়া যাচ্ছে ভাসিয়া॥ চুল ষোড়া ধরিয়া ময়না ডাঙ্গাত উঠাইল। বজ্জর চাপড় হাড়িক কসিয়া মারিল ৷ ধ্যানত আছিল হাড়ি চমকিয়া উঠিল। ধ্যানত হাড়ি গুরু ধ্যান করি চায়। ধ্যানর মাঝত ময়নার লাগাল পায়॥ যাওঁ যাওঁ দিদি (২) রাজাক লাগিয়া। তোর বেটাক উদ্ধার করিলে পিছে খামু গাজা॥ যদি কালে ছাইলার জ্ঞান অল্প দেখিব। হাড়ি সিদ্ধার প্রতি ছাই ভস্ম করিয়া হাড়ি তোক যমঘর পাঠাব॥ জাদেশ। যে ঘাটত রাজার বেটা জল ভরে বসিয়া। ঐ ঘাটত হাড়ি সিদ্ধা উত্তরিল যায়॥ দুর হইতে দেখিল রাজা হাড়ির চকর॥ হাড়ি সিদ্ধ ও রাজা। দুইটা হাড়ী খুইলে দুইটা ভাঙ্গিয়া। মাথার চুল রাজা দুই অৰ্দ্ধ করিল। হাড়ির চরণত রাজা পড়িল ভজিয়া। ঐ ধর্ম্মী রাজাক ঝোলঙ্গায় ভরিয়া। নটীর মহলত গেল চলিয়া॥ নটীর মহলত যাইয়া হাড়ি হুঙ্কার ছাড়িল। দুম জুম করি পুরী নড়িবার লাগিল। নটী বলে বান্দী বেটী কার পানে চাও। কোনটেকার (৩) অতিথ আইছে বিদায় করি দাও। এই কথা শুনিয়া বান্দী আইল চলিয়া। হাড়িক দেখিয়া বান্দী গেল ফিরিয়া॥ (১) হাড়ি সিদ্ধাকে চক্রাকারে চোক চাক করিয়া) কর্ত্তন করিয়া ফেলিল। (২) ময়নামতী এবং হাড়ি সিদ্ধা উভয়েই গোরক্ষনাথের শিষ্য। (৩) কোথাকার।