পাতা:Vanga Sahitya Parichaya Part 1.djvu/২৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শিবায়ন—রামেশ্বর ভট্টাচার্য্য – ১৭৫০ খ্রঃ। 〉○> বাদ নাহি বাঘ যেন বসি থাকে বুড়ী (১)। - সাৰ্দ্ধ যামে (২) সারি উঠে শত শত কুড়া॥ স্বাস কেটে বোঝা বেঁধে বাসে যায় চলে। পাট পেড়ে প্রাণপণে পোষে দুটা ছেলে। এইরূপে প্রতিদিন পাইটগুলি করে। প্রভাতে নিড়াতে যায় আসে দেড় পরে॥ জানিলা যোগিনী জটিলের মনোরথ। - জোকের উৎপাত। জলে স্থলে জলেীকা পাঠাল্য দুই মত (৩) ৷ ছোট ছোট ছিনে জোক ছুটে বুলে ঘাসে (৪)। জলে বুলে হেতে জোক রুধিরের আশে॥ প্রভাতে নিড়াতে ক্ষেতে নাবে বৃকোদর। আইড়ের (৫) উপরে ঘাসে বসে মহেশ্বর॥ জোক ধরে দোহারে জানিতে নারে কেহ। দূর দূৱ পাট্টে দৃষ্টি দেখে নাহি দেহ॥ নিড়ান সমাপ্ত করি বৎসরের মত। হরি ধ্বনি করি উঠে হয়ে হরষিত ৷ তখন দেখিল জোক পাইল মহাভয়। হাতে পায় ধরেছে হাজার পাঁচ ছয়॥ বিকল হইয়া উঠে বাড় বাড় করে। প্রাণপণে যত টানে তত যায় সরে॥ পিছলিয়া যায় পা ছিড়ে ছাড়ে নাই। মরি মরি করি আইল মহেশের ঠাঞি॥ মুকুন্দে মগন ছিল মহেশের মন। জানে নাই ছিনা জোক ধরেছে কথন। ভীমে দেখি বলে ভোলা ভয় নাই তোর। আপনার দেহ দেখ প্রাণ রাখ মোর॥ (১) বৃদ্ধ=বৃদ্ধ শিবঠাকুর। (২) দেড় প্রহরে। (৩) দুর্গ শিবের অভিপ্রায় (অর্থাৎ কৃষিকার্য্য লইয়া থাকিবেন, গৃহে আসিবেন না ) বুঝিয়া দুই প্রকারের জোক পাঠাইলেন। (৪) চিনা জোক; ইহাৱা ডাঙ্গায় ঘাসবনে থাকে। (৫) আইলেব।