পাতা:Vanga Sahitya Parichaya Part 1.djvu/২৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রাচীন সূর্য্যের গান। ➢&ዓ ঘটের আড়ে (১) বইয় স্থর্য্যাই নুইঞ লুইঞা চায় শ্বেত ধূপের গন্ধে স্বর্য্যাই পূজা খাইতে বয় (২)। পূজা খাইয়া ছাওয়াল স্বর্য্যই জলপান কল্প কি। হাল্যা () বাড়ীর দুগ্ধ-দবি গোয়াল-বাড়ীর ঘি॥ পূজা খাইয়া ছাওয়াল স্বর্য্যাই চতুর্দিকে চায়। জলপান কল্লা ছাওয়াল স্বর্য্যাই মুখ শুদ্ধ কল্লা কি। বারৈ বাড়ীর পাণ সুপারি গাছের হরতকী॥ সূর্য্যের যাত্রা ও পার। আরে ও পাটনী মোরে পার কররে॥ ধ্রু॥ স্বর্য্যাই ঠাকুর যাত্রা করে মুংখে (৪) সোণার ঘট। চারিদিকে লোক-লস্বর মধ্যে নাচে হরি॥ শিবাই ঠাকুর যাত্রা করে দুই কাণে ধুতুরা। ষোল শত গোপিনী লয়ে চলিছে মথুরা॥ গাঙ্গের বৃলে গিয়া স্থর্য্যাই ডাকে ঘন ঘন। কৈ গেলা পাটনী বিশাই থেওয়ার কড়ি গণ॥ শ্রীফল গাছের নৌকাখানি মধ্যে জোড়-গুড়া (৫)। স্বর্য্যাই ঠাকুর বৈছেন (৬) যেন পর্ব্বতের চূড় ৷ চন্নন গাছের নৌকাথানি আগা পাছ টান। স্বর্য্যাই ঠাকুর বৈছেন বেন পূর্ণিমারি চাদ॥ মধ্য গাঙ্গে নিয়ারে বিশাই নাও (৭) করিল কাইত। বুঝিলাম বুঝিলাম বিশাই দুপুরা ডাকাত (৮)। নৌকা হইতে স্বর্য্যাই ঠাকুর বুলে দিল পার (৯)। আচম্বিতে পাইল বিশাই মৃবর্ণের ভরা॥ পার হইয়া স্থর্য্যই ঠাকুর চারিদিকে চায়। যে দিক শোনে সূর্য্যাই-মঙ্গল (১০) সেই দিক চলা যায়॥ (১) তাড়ালে। (২) বসে। (৩) যাহার হাল চাষ করে = কৃষক। বরিশাল অঞ্চলে কৃষকশ্রেণীই প্রধানতঃ দুগ্ধ-দধি-বিক্রেতা। (৪) স মুখে। (৫) যে কাঠ কড়িকাঠের দ্যায় আড়াআড়ি ভাবে নৌকার উপর সংলগ্ন থাকে তাহাকে ‘গুড়া’ বলে। নৌকা শক্ত করিবার জন্ত কোন কোন স্থলে দুইটা গুড়া একত্র করিয়া দেওয়ার নিয়ন আছে বলিরা এস্থলে “জোড়-গুড়া'র কথা উল্লিখিত হইয়াছে। (৬) বসিয়াছেন। (৭) নৌকা। (৮) ৰে লোক দিনে-নুপুরেও ডাকাতি করিতে পারে। (৯) পদক্ষেপ করিল। (১০) সুর্য্যের উদেশে মঙ্গল-গতি।