পাতা:Vanga Sahitya Parichaya Part 1.djvu/৪৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চণ্ডীকাব্য-মাধবাচার্য্য—১৫৭৯ খৃষ্টাব্দ। ○、○。 কালকেতু বড় রঙ্গী জলে বান্ধিয়াছে টুঙ্গী (১) দুই সন্ধ্যা পাইক সাজন। নৃত্যগীতে আনন্দিত প্রজাকুল হরষিত কি করিতে পারে অন্তজন॥ কালকেতুর বিরুদ্ধে কলিঙ্গাধিপতির যুদ্ধ-যাত্রা। সাজ সাজ যুদ্ধ মুখে ভূপতি সঘনে ডাকে রাজ্য সহিতে পড়ে সাড়া। যে অস্ত্র ধরিতে জানে চল সবে রাজস্থানে ঘন ঘন বাজে সিঙ্গ কাড়া॥ সাজিলেক রণঝাপ রণে যেন সিংহদাপ রণভীম আর রণজিত। রণের বীরতা পায়্যা হাতে অস্ত্র এল ধায়্যা সকল হইল একত্রিত॥ সাজিল হার্দিক রায় সিংহের বিক্রমে ধায় শিহরিয়া অতি কোপানলে। রাজার রাহুত রায় রণ শুনি সব ধায় পূরিল শব্দের কোলাহলে ৷ সাজিল কেশব রাজ করিয়া আপনা সাজ প্রতাপেতে অনল ভেজায়। শর কাছনি করি তরাগেতে গুলি ভরি শব্দেতে পৃথিবী কাপায়। সাজিলেক ধনুৰ্দ্ধর চাপগুণে যুড়ি শর ডাকিয়া কহিছে বারে বার। চলে সব রাজস্থানে সাবধানে সর্ব্বজনে চাহে যেন ভাঙ্গে পাটোয়ার॥ সাজিলেক সেনাচয় রিপুকুল করিতে ক্ষয় ধরিবারে ব্যাধের নন্দন। (১) নদীর মধ্যে খুব উচ্চ স্তম্ভ নির্ম্মাণ করিয়া শত্রুসৈন্ত-প্রবেশ পর্য্যবেক্ষণের জন্ত প্রহরী রক্ষা করা হইত, সেই স্তম্ভ বা উচ্চ স্থান ‘জলটুঙ্গী নামে অভিহিত হইত।